স্মৃতি সত্যব্রত-র নানা লেখা | Smriti Satyabrata-r Nana Lekha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ ঘর স্মৃতি অস্বীকার BEA | এটা ছিল “কম্বাইনের” কাছে একটা রূঢ় STING | এমনকি দ্য ইকোনমিস্টবা নিউ সায়েনটিস্ট-এর মতো পত্রিকাও তাদের বিস্ময় প্রকাশ করে। তবুও এই পর্যায়ে “কম্বাইন” তাদের পরিকল্পনাগুলিকে গ্রহণ করানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে Aa | কিন্তু সরকারি শিল্পদপ্তর এবং ট্রেড ইউনিয়ন উভয়েই এব্যপারে “কম্বাইন” কে প্রায় কোনো সাহায্যই করে না। এরই মধ্যে '৭৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নর্থ ইস্ট লন্ডন পলিটেকনিকের সাথে যৌথভাবে “কম্বাইন” তৈরি করে একটি প্রতিষ্ঠান-_ সেন্টার ফর অল্টারনেটিভইন্ডাস্ট্রিয়াল ante টেকনোলজিকাল FOCI, ব্যোইটস)। এখানে শ্রমিকদের তৈরি যৌথ পরিকল্পনার GSTS অগ্রগতের উদ্দেশ্যে কাজ চালানো হতে ACH | এবং ভ্রমনে “APSHA” স্থায়ী সমবায় তথা শ্রমিকদের তৈরি পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রধান তথ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়। এই সংক্রান্ত খবরাখবরের জন্য অনুরোধ আসতে থাকে অস্ট্রেলিয়া বা চীনের মতো দূর দেশ থেকে। জাতীয় পর্যায়ে “ক্যাইটস” যোগাযোগ রেখে চলছিল শ্রমিক আন্দোলন থেকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-_সবার সাথে। ১৯৭৮ মার্চ ছিল “কস্বাইন””-এর সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার সময় | লিভারপুল, ব্র্যাডফোর্ডও কভেন্টির কারখানাগুলিতে লুকাস ক্লোজার ঘোষণা করে। প্রায় ২০০০ শ্রমিকের কাজ যায়। এ- ব্যাপারে “PRB” কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত ইউনিয়নের সাথে যৌথভাবে আন্দোলন শুরু করে। ad জানুয়ারিতে একটি যৌথ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। এতে ব্রিটেন থেকে ইটালি, জামানি ও ফ্রান্সে কারখানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় তীব্র সমালোচনা করা হয় এবং সরকারি শ্রমদপ্তর ও লুকাস কর্তৃপক্ষের অশুভ আঁতাতের কথাও ঘোষিত হয়। দেখানো হয় যে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড লাভ সত্ত্বেও কিভাবে লুকাস কর্তৃপক্ষ কর্মসংস্থান নষ্ট করছে। রিপোর্টের থাকি অংশে ওই ২০০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হতে পারে বিকল্প উৎপাদনের সাহায্যে কিভাবে তার বিস্তৃত পরিকল্পনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছিল ডায়ালিসিস মেশিন তৈরি করার তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা এবং ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে গ্যাস টারবাইন, পাম্প ইত্যাদি তৈরির কথা। তীব্র আন্দোলনের মুখোমুখি হয়ে এই পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় ইউনিয়নের সাথে সমঝোতা করতে।দুবছরের জন্য লিভারপুল ও ব্র্যাডফোর্ডের ছাঁটাই বন্ধ করা সম্ভব হয়, কিন্তু এসব সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাদের “কস্বাইন” বিরোধিতা বন্ধ করেনি। বস্তুত ““কম্বাইন”-এর সামনে রয়েছে প্রযুক্তির কাঠামোকে মানবিক করে তোলার কঠিন চ্যালেঞ্জ । এই অভিনব প্রচেষ্টা জনমানসে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। “কম্বাইন” দেখিয়েছে যে প্রতিভা কিছু বাছাই করা মানুষের একচেটিয়া নয়, এটা আসলে শ্রমজীবী মানুষের যৌথ প্রয়াসের বহিঃ প্রকাশ | এই দৃষ্টান্ত তাই উৎসাহিত করে তুলেছে অন্যশিল্পের শ্রমিকদের | উদাহরণ স্বরূপ বল! যায় যে We সালের সেপ্টেম্বরে যখন ম্যাঞ্চেস্টারে অবস্থিত BA কোম্পানি দুটি টেক্স্টাইল কারখানায় ক্লোজার ঘোষণা করা হয়, তখন সেখানকার শ্রমিকরা লুকাস কম্বাইনের পথ অনুসরণ করে বিকল্প উৎপাদনের জন্য এক যৌথ পরিকল্পনা হাজির করেন। বস্তুত শুধু জাতীয় ক্ষেত্রে নয় যেহেতু বছজাতিক সংস্থার বিচরণ ভূমি গোটা পৃথিবী তাই লুকাস কম্বাইনের এই আন্দোলনের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতিরোধের ইঙ্গিত রয়েছে। আগামী দিনে তা হয়ত আরো স্পষ্ট, হয়ে উঠবে। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানকর্মী; মে-জুন ও জুলাই-আগস্ট ১৯৮৫



Leave a Comment