প্রতিদিনের কথা | Pratidiner Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দরিদ্র নিবিশেষে প্রত্যেকের একটি ক'রে ভোট, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর তাই এই ভয়গ্রস্ত মানুষগুলিকে ভেড়ার পালের মতো ভোটের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় কোন্‌ চিহ্নের উপর সীলমোহর মারতে হবে, গৃহপালিত Haq মতো নিঃশব্দ আঙ্গুগত্যে গরিব মানুষগুলি নির্দেশ পালন করে, শাসক্দলের মৌরসি পাট্ট। আরো পাঁচ বছরের জন্য কায়েম হয় | 'লিখিবে-পড়িবে-মরিবে দুখে মৎস্য ধরিবে খাইবে aca’, এই apna প্রবচনের একটি নতুন ব্যাখ্যায় অতএব পৌঁছুনো গেছে স্বাধীন ভারতবর্ষে : গরিব- উরবোদের লেখাপড়া শিখিয়েছে! তো মারা পড়বে, নিঝর্জাট ভালো খাওয়া- দাওয়া যদি চালিয়ে যেতে চাও, গরিবদের নিরক্ষর ঝ'রে রেখে দাও, শাসককুলের কোনো ঝামেলা থাকবে না তা হালে ৷ সংবিধানে গরিবদেরও প্রত্যেককে একটা ক'রে ভোটের অধিকার দেওয়া হয়েছে; সংবিধানের সেই ধারাটি মানা হচ্ছে, কারণ Sse একটি বড়ো৷ অঞ্চল জুড়ে গরিবদের ভোটগুলি কোন্‌ বাস্জে পড়বে সেটা বড়োলোকেরাই নির্ধারণ ক'রে দিতে পারছেন। কিন্তু সংবিধানের এ অন্য ধারাটি মান্য ক'রে যদি সকলের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা কর| হতো, এমনকি হতচ্ছাড়া গরিবদের জন্যও, তা হ'লে হয়তো পাখা গজাতে তাদের, তাদের চোখ- কান খুলতো, বড়োলোকদের নির্দেশ মেনে ভোটের বাক্সে ছাপ মারতে আর হয়তো তারা রাজি হতো না। সেই সর্বনাশের GPT fel করেই কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের ব্যাপারে বাঁধা দিয়ে এসেছেন | শাসকশেনীর পক্ষে সত্যিই বাচা-মরার লড়াই এটা; যদি শিক্ষা বিস্তারের সুত্রে গরিবদের সাহস বাড়ে, প্রতিবাদের ভাষা শেখে তারা, সংঘবদ্ধ হ'তে শেখে তারা, তা হ'লে, কে জানে, বিহারের গ্রামে এখন থেকে আর খেতমন্জুরদের পুড়িয়ে মারা সম্ভব হবে না, উত্তর প্রদেশে রামজন্মভূমিউদ্ধারের অন্ধ উন্মাদনায় সরল-নিরেট দেহাতী লোকজনগুলিকে সাম্প্রদায়িকতাবোধে উদ্বুদ্ধ করা যাবে না, রাজস্থান সতীদাহরূপ বালিকাবধূ হত্যা অব্যাহত রাখা মুশকিল হবে, একটি বিশেষ দল বা বিশেষ পরিবারের বিহনে ভারতবর্ষ চোখে অন্ধকার দেখবে সেই ধর্মবিশ্বাসেও হয়তো খুণ ধরতে শুরু করবে । এত বড়ো-ড়ো বিপদের আশঙ্কা নিহিত সংবিধানের এ ৪৫ সংখ্যক ধারা প্রয়োগের সম্ভাব্য পরিণামের মধ্যে, ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না। সংবিধান প্রবর্তনের পর প্রায় আটতিরিশ বছর অতিক্রান্ত, শাসকশেনী কোনো ঝু'কি নেননি | ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার বছরে, ভারতবর্ষে সাক্ষরতার অনুপাত ছিল শতকর। ২৭ ভাগ, ১৯৮৭ সালে তা মেরে-কেটে শতকরা ৩৪ ভাগ | ১৬



Leave a Comment