For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)যাত্রার wa ও বিকাশের ইতিহাস যাত্রাপ্মানের প্রাথমিক পর্যায় বলে মনে করা যেতে পারে। এই আখ্যান কাব্যে উক্তি-প্রত্যুক্তিমূলক
সংলাপধর্মী গানের আশ্রয় নেওয়ায় নাটকীয়তার সৃস্টি হয়েছে। কেননা সংলাপের আশ্রয়ে নাটক
গড়ে ওঠে। গীতগোবিন্দের মতো শরীকৃষ্ণকীর্তনেও তিনটি চরিত্র — কৃষ্ণ, রাধা এবং বড়ায়ি (দূতী।
দুটি কাৰ্যেই Hola প্রাধান্য বর্তমান। তিনটি চরিত্রই সংগীতাশ্রয়ী সংলাপ বলেছে। ডঃ সুকুমার
সেন তীর বৈষ্যবীয় নিবন্ধে “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে' গীতিনাট্যকাব্য, 'গীতিসর্বস্ব নাট্যকাব্য' 'নাট্যগীতি'
প্রভৃতি বিভিন্ন নামে অভিহিত করেছেন। অধ্যাপক ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে
নাটক বলতে নারাজ। তিনি এ কাব্যের মধ্যে ঝুমুরের আভাস লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেছেন —
“শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে রাধা-কৃষ্ণের চটকদার বোলচালে খানিকটা ঝুমুরের আভাস পাওয়া
যাবে! এ কাব্যের সঙ্গে তিন চরিত্রের দ্বারা অভিনীত “AA নাটকের সাদৃশ্য থাকলেও একে নাটক
বলা সম্পূর্ণ অসঙ্গত।”” ১৫
ডঃ বৈদ্যানাথ শীল শস্রীকৃষ্তকীর্তনের আঙ্গিক প্রসঙ্গে বলেছেন — “বাংলা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং সংস্কৃত জগম্নাথবল্লভ নাটকের মিশ্র শৈলী হইতে বাংলা
যাত্রাশশৈলীর STAN” ১৬
রায় Starrs বিরচিত “জগন্নাথবল্লভ' সংস্কৃত নাটকখানি সঙ্গীত প্রধান, তবে গীতিনাট্য বা যাত্রাগান
যে নক্ম তা স্থির করে বলা যেতে পারে। কেননা, যাত্রাগানে এ নাটকের প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল এমন
CAE তথ্য প্রমাণ মেলে না।
ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন -- “অনেককাল পূর্ব থেকে পাঁচালী ও ঝুমুর ধরণের লোকাভিনয়ের যে ধারা চলে আসছিল,
পরকর্তকোলে CAR প্রভাবের যুগে কৃষ্ণলীলা ব্য।খ্যানে সেই মিশ্র রীতিই যাত্রাগানকে প্রভাবিত
করেছে।” ১৭ ডঃ অজিত কুমার ঘোষ গীতগোবিন্দে গীতিনাটের যে নিদর্শন দেখেছেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তনেও সেই
গীতিলাটেরই পরিপূর্ণ রূপ লক্ষ্য করেছেন — “গীতনাটেরই পূর্ণতর নাট্যরূপ দেখা যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে একটি
কৌতূহলোদ্দীপক ও WAG কাহিনী রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি চরিত্র কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই
নাটকের মতো উক্তি প্রত্যুক্তিমূলক সংলাপ উচ্চারণ করেছে। নাট্যোৎকষ্ঠা, পরিস্থিতির বৈপরীত্য
প্রভৃতির মধ্য দিয়ে নাট্যাবেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে সৃত্রাধারের ভূমিকা কবির।”” ১৮
Tews সংলাপধর্মী গীতিময়তা, নাট্যোৎকষ্ঠা এবং সুসংবদ্ধ জমাট কাহিনী আধুনিক
যাত্রা্গানের উপর যে বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল তা বলা যায়। চৈতন্যদেবের কিছু আগে থেকেই গৌড়ে বৈষ্ণবাশ্রয়ী ভক্তিধর্মের সূচনা দেখা যায়।
মাল্যাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়' রচিত হয়েছিল চৈতন্যের আবির্ভাবের পূর্বেই! তারও প্রায় ৫০
বছরূ আগে TATA HA ভাগবতাশ্রয়ী কৃষ্ণলীলা প্রচার করেন। সুতরাং এটা অনুমেয় যে, পঞ্চদশ
ASE থেকে যোড়শ শতাব্দীর প্রথম পাদে কৃষ্ণলীলাশ্রয়ী নৃত্যগীতানুষ্ঠান জনগণকে প্রভাবিত
কর্কেছিল। আমাদের দেশে কৃষ্ণযাত্রার অনেক আগে শক্তি বিষয়ক যাত্রা প্রচলিত ছিল বলে ৪