For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)সেকাল ও একলপি ¢ পর্যন্ত যে সধ ভারতীয় নেতারা বিভিন্ন রাজ্যে wie করেছেন তাদের না ডেকে এই
নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নেতাদের ডাকা হল কেন? OTE নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের এক্ষেত্রে কোন
অবদান আছে কিনা সেটা অন্য প্রশ্ন। অবদান এখানে জাতীয়তাবাদের । কারণ এই
নেতৃত্বের ফলে যে আন্দোলন হয় সেই আন্দোলনে দেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন
ছিল। ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনায় কংগ্রেসকে ডাকায় সেকথাই প্রমাণ ae | 'ক্যারিশমা'
বলে যে শব্দটি ইংরাজিতে ব্যবহৃত হয় তার সার্থক বাংলা অনুবাদ করা কঠিন। জাতীয়
আন্দোলন যে ক্যারিশমা অর্জন করেছিল, তা নেতা ও কর্মীদের আত্মত্যাগের কতগুলি
কর্মপদ্ধতি,কতগুলি প্রচারের ভিত্তিতে অর্জন করেছিল। সেই প্রচার এবং কর্ম যে সাধারণ
মানুষের সমর্থন পেয়েছিল তার প্রমাণ, ইংরেজ যখন রাজ্য হস্তান্তর করবে তখন সাম্রাজ্যের
শত্রু এই নেতাদেরই কারাগার থেকে ছেড়ে দিতে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হল।
অনুগত সহযোগীদের ছেড়ে, নিতান্ত অনুগত রাজা মহারাজাদের পথে বসিয়ে এক বিদ্রোহী
সংস্থার নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাদের হাতে এই জন্যই ক্ষমতা দিতে হল। কারণ
জাতীয়তাবাদের পেছনে অধিকাংশ ভারতীয়ের সমর্থন তখন এসে গেছে। দেশীয় রাজ্য
এবং অন্য ইউরোপীয় জাতি শাসিত অঞ্চলগুলিও এই নতুন ধর্মের আওতায় এসেছিল
তার প্রমাণ পরবর্তী ইতিহাসে। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের শুরু ইংরাজিনবীশ মধ্যবিত্তের রাজনৈতিক আদর্শ
হিসাবে। জাতীয়তাবাদের ইতিহাসের প্রথম যুগে ব্রিটিশ ence প্রতি আনুগত্য
রাজনৈতিক আদর্শের অঙ্গ ছিল। ক্রমেই সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর
রাজভক্তি ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসে | 'ইংরাজের জাতিবৈর সম্পর্কে তারা বিশেষ স্পর্শকাতর
ছিল। গুপনিবেশিক শাসনের সমালোচনা ও জগতব্যাপী সামাজ্যের প্রজা হিলাবে গর্ববোধ
তবুও তাদের চেতনায় Hea সহাবস্থান করত। জাতীয়তাবাদের পেছনে যে গভীর
আবেগ ছিল প্রথম যুগে তার ভিত্তি এইখানে। ১৮৭০-এর দশকে সূরে্্রনাথ প্রভৃতি
নেতারা সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এই আবেগকে সংহতি দিতে ঢচেয়েছিলেন।
নবজাত জাতীয়তাবোধের প্রকাশ সেই প্রতিষ্ঠানগুলিরমাধ্যমে। আবার সেই সবপ্রতিষ্ঠানই
জাতীয়তাবদীদের আশা আকাঙক্ষাকে স্পষ্টরপ দিতে সাহায্য করে ভবিষ্যত ভারতবর্ষের
অর্থনৈতিক সামাজিক খসড়া আঁকতে শুরু করে। নতুন রাষ্ট্রনেতিক আদর্শের সেই
উযাকাল আজকের আলোচনায় বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক | কারণ স্বাধীনতা যখন রাজনৈতিক
সত্য হয়ে দেখা দিল জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠানভিত্টিক ইতিহাস তখন ৭০ বছর ছাড়িয়ে
গেছে। এই কথাটির উপর আমি বিশেষভাবে জোর few টাই। যুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে
অনেক নতুন স্বাধীনদেশ জন্ম নিয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেরই স্বাধীনতা আন্দোলনের
বা জাতীয়তাবাদের ইতিহাস সময়েরহিসাবে অত্যস্ব হু, তারতবর্ষে অঙ্ধত সত্তর/আপি
বছর ধরে এই জাতীয়তাবোধের Cows হয়েছে। এর আগেও চলে যাওয়া যায়। প্রা
১৮৪০ সন থেকে আমরা দেখি কিছু কিছু মানুষের মনে এই চেতনার সঙ্ধার হয়েছে।