For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাই চাম্পাও ছাড়তে হল। চাই
চাম্পা ছেড়ে তারা তোড়ে পুথরিতে উঠে এলেন। এখানে বহুদিন পর্যন্ত ছিলেন।
তোড়ে পুখরি ছেড়ে শিখরভূঁই ছাড়িয়ে সাঁত দেশে এলেন। এই সাঁত এ ছিলেন
বলেই এদের সাঁওতাল বলা হয়। কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। সবাই সাঁতএ ছিলেন
না, কিছু লোক ছিলেন তারা এখনো আছেন। পরবর্তী কালে সীত ছেড়ে শিখর
ভুইএ এলেন। শিখরভূইএর মহারাজের বশ্যতা স্বীকার করে নিলেন। অবশেষে
সেটাও ছেড়ে দিয়ে টুণ্ডি হয়ে সাওতাল পরগণায় এলেন। ঘোরবার সময় কোথাও
কোথাও দিকুদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। কোথাও তারা জিতেছেন, আবার
কোথাও পরাজিত হয়েছেন। কাহিনীর শেষাংশ সাঁওতাল পরগণা থেকে সংগৃহীত বলেই সীওতাল পরগণার
কথা উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হচ্ছে, সাঁওতাল পরগণার অধিবাসী
কেবল সাত এবং শিখরভূই এর অধিবাসী নন, তারা মানভূম, বরাহভূম, সিংভূম
এবং বীরভূমেরও অধিবাসী। তাই তাদেরকে কেবল সাঁত এর অধিবাসী বলে উল্লেখ
করা ভুল। সাঁওতালরা ছিলেন কৃষিজীবী। গ্রামকেন্দ্রিক সভ্যতার ধারক এলং বাহক। তাই
তাদের যাত্রা পথে যে সব জায়গার নাম উল্লেখিত হয়েছে সেগুলি সবই গ্রামের
নাম এবং এই জন্যই ইতিহাসের পাতায় তাদের বিবরণ খুঁজে পাই না, কারণ
প্রাটীনকালের ইতিহাসে কেবল মাত্র রাজা, রাজড়া এবং তাদের রাজ্য এবং
রাজধানীর নাম লিপিবদ্ধ আছে। গণনার সাঁওতালি পদ্ধতি যীশুখৃষ্টের আবির্ভাবের পর থেকে খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা খৃষ্টাব্দ গণনা শুরু করে
এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা তাদের পয়গম্বর হজরত মহম্মদের মদিনা থেকে
মক্কা যাত্রার অব্যবহিত পর থেকে হিজরি সনের প্রবর্তন করেন। এ কথা সবাই
জানেন। কিন্তু তার বহুকাল পূর্ব থেকে বলতে গেলে প্রায় স্মরণাতীতকাল থেকে
সাঁওতালদের মধ্যে দিন, মাস ইত্যাদি গণনার এই প্রথা প্রচলিত ছিল। তার কিছুটা
এখনো অবশিষ্ট আছে বাকিটা অবলুপ্ত হয়েছে। এই অবলুপ্ত হবার কারণ সম্পর্কে
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ব বিভাগের অধ্যাপক মার্টিন
ওরাঙ্গের মতে নিজেদের এঁতিহামণ্ডিত সংস্কৃতিকে ত্যাগ করে হিন্দু সংস্কৃতিকে
আপন করে নেওয়া। তার মতে তাদের প্রতিবেশী হিন্দুদের কাছে খুব সম্ভব ১৮৫৫ ২০