রবীন্দ্র-সরণী | Rabindra-Sarani

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
রবীন্দ্রসাহিত্যের তিন জগৎ ৩ মেলবন্ধন ঘটাইতে coe করিবার ফলে রবীন্দ্রনাথ যে বিচিত্র ay সংগ্রহ করিয়াছেন তাহাই বিপুল রবীন্দ্রসাহিত্য। তদ্পরি att সীম|ও অসীম সম্বিত হইয়াই থাকে, তবে তাহা! অতিরিক্ত ফল । তাহার লোভ না রাখাই ভালো। অজিতকুমার চক্রবর্তী বলিয়াছেন যে, রবীন্দ্রসাহিত্যের মূল প্রেরণা বিশ্ববোধ। এখন, এই বিশ্ববোধ আর রবীন্দ্রনাথ-কথিত সীম| ও অসীম অর্থাৎ সীমার . মধ্যেই অসীমের সহিত মিলনসাধন ভিন্ন নয়। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ব সর্বব্যাপক। তাহা একই সঙ্গে সীমা- অসীমে wie, ভূমা ও ভূমিতে গঠিত। মানুষ, প্রষ্কৃতি ও ব্রহ্ম তাহার তিন চরম উপাদান। চতুর্থ আর Be বা হওয়া সম্ভব৷ এইজন্যই তাহাকে সর্বব্যাপক বলিয়াছি। মায়াবাদী শুধু eH বলিবেন, দ্বৈতবাদী শুধু জগৎ ও ব্রম্ম বলিবেন। কিন্ত রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে এভাবে ভাগ sal চলিবে না, সপষ্টত বিশ্বকে তিন.ভাগে wit করিয়া মানুষ, প্রকৃতি ও ব্রন্ন বলিতে হইবে। কেন এমন ভাবে বল৷ আবশ্যক তাহ এখন বুঝাইতে পারিব না বা চেষ্টা করিব না, কেনন৷ তাহাই বর্তমান আলোচনার অন্যতম প্রধান aay | রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশ্ববোধের মূলে যে বিশ্ব, তাহার মূল উপাদান তিনটি-_মানুষ, প্রকৃতি ও awa) তিনি যখন সীমার মধ্যেই অসীমের সহিত মিলনসাধনের পালা বর্ণনা করেন তখন এই তিনের লীলা ব্যাখ্যা! করিতে coal করেন। তাঁহার দৃষ্টিতে মানুষ ও প্রকৃতি বিশ্বের সীমার কোটি আর ব্রহ্ম বিশ্বের অসীমের কোটি । তিনি বলিতে চান যে, স্বভাবত যিনি অসীম তিনি স্বেচ্ছায় সীমার মধ্যে আনন্দরূপে aa দিতেছেন ; স্বভাবত যিনি নিগুণ তিনি স্বেচ্ছায় সীমার মধ্যেই সৌন্দর্যরূপে ধর৷ দিতেছেন; আর স্বভাবত যিনি নির্বিকার তিনি সীমার মধ্যে প্রেমরূপে ধরা দিতেছেন। কেন তাহার এমন খেয়াল হইল কেহ বলিতে পারে না-_ইহাই তাঁহার লীলা৷। সীমা ও অসীমের এই বিচিত্র লীলার আসর রবীন্দ্রসাহিত্য।



Leave a Comment