For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)নিম্নবর্গের ইতিহাস ধরা হয়েছিল এই প্রতিকল্পে। অর্থাৎ তত্ত্বের দিক দিয়ে এটাই ছিল বিশুদ্ধ রূপ-_
সুবিন্যস্ত, সুসমঞ্জাস ও নির্দিষ্ট। কিন্তু বিশ্বের যে-সমস্ত অঞ্চলে পুঁজিবাদের উদ্ভব ঘটেছে দেরিতে, অর্থাৎ মধ্য, পূর্ব
কিংবা দক্ষিণ ইউরোপে অথবা গুপনিবেশিক তন্ত্বাবধানে--যেমন এশিয়া, আফ্রিকা a
দক্ষিণ আমেরিকায়-_সেখানে এঁতিহাসিক বিবর্তনের এই সুসমঞ্জস রূপটি আদৌ
দেখতে পাওয়া যায় at) একদিকে তাত্তিক প্রতিকল্পের নির্দিষ্ট রূপ, অন্যদিকে বিভিন্ন
দেশে এঁতিহাসিক বিবর্তনের বিভিন্নতা- এই সমস্যাটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়
মার্কসের শেষজীবনের লেখাগুলি(তে। তারপর লেনিনের রচনাতে পাওয়া গেল এই
তাৎপর্যগুলির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের কয়েকটি ইঙ্গিত। এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে
ধারণাটি, সেটি হল সামাজিক সম্পর্কের পুনরাবর্তনের প্রক্রিয়ায় দ্বন্দ্বের অসম বিকাশের
সম্ভাবনা। দ্বন্দের অসম বিকাশ তখনই দেখা দেয় যখন সমাজকাঠামোর বিভিন্ন অংশে
পুনরাবর্তনের প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে এগোয় না। অর্থাৎ অর্থনীতির ক্ষেত্রে শ্রেণীদ্বন্দ্বের
প্রক্রিয়ায় কোনও বিশেষ NA প্রাধান্য সমান্তরালভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা বা সাংস্কৃতিক
জগতে প্রাধান্যে পরিণত নাও হতে পারে। তেমনি আবার এই aces fees
ভৌগোলিক ক্ষেত্রেও ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে। ফলে
শেণীদ্বন্দবের মৌলিকতা, বৈরিতা, প্রাধান্য ইত্যাদি গুণগুলি এক জটিল ও পরিবর্তনশীল
কাঠামোয় বিন্যস্ত হয়ে থাকে। এবং পশ্টিম ইউরোপের অভিজ্ঞতা থেকে MAS
প্রতিকল্পের সাহায্যে এই দ্বন্দ্বের এঁতিহাসিক উত্তরণের পথ নির্দেশ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই অনির্দিষ্টতার জন্যই ইতিহাসের আলোচনায় উচ্চবর্গ/নিম্নবর্গের ধারণাটি তার
তাৎপর্য লাভ করেছে। শুধু পূর্ব ইউরোপ, কিংবা এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকায়
নয়, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পশ্চিম ইউরোপের ক্ষেত্রেও পুঁজিবাদের উদ্ভব
অথবা বুর্জোয়াখ্রেণীর সামাজিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা কোনও একটি সুনির্দিষ্ট উপায়ে ঘটেনি।
বরং পুঁজিবাদে উত্তরণের এঁতিহাসিক প্রক্রিয়াটির অস্তর্গত যে শ্রেণীসংগ্রাম, তার বিশিষ্ট
রূপ, শ্রেণীতে শ্রেণীতে বৈরিতা, মৈত্রী, সমঝোতার বিশিষ্ট রাজনৈতিক চেহারা, এক-এক
দেশে এক-একভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এবং সম্ভাবনার এই বিভিন্নতার কারণ
সমাজকাঠামোর বিভিন্ন অংশে দ্বন্দ্বের অসম বিকাশ। সুতরাং উৎপাদন-রীতির
বিন্যাসমূলক ও বিমূর্ত বিশ্লেষণ শুরু করামাত্রই প্রয়োজন হয়ে পড়ে উৎপাদন-সম্পর্কের
সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতা, ধর্মীয় জীবন, সংস্কৃতি ও ভাবাদর্শের জগতে শ্েণীদ্বন্দ্বের
চরিত্রটিকে চিহ্নিত করা। যদি ধরে নিই, সমাজকাঠামোর প্রত্যেকটি অংশে এই দ্বন্দ্বের
বিকাশ সমান্তরালভাবে oie, তাহলে উৎপাদন-রীতির চরিত্র অনুযায়ী
উৎপাদন-সম্পর্কের ধারণ[টি ছাড়াও আরও কতকগুলি ধারণার প্রয়োজন দেখা দেয় যার
সাহায্যে রাষ্ট্র বিংবা সংস্কৃতি-ভাবাদর্শের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের বিকাশকে বিশ্লেষণ করা যেতে
পারে। এই প্রয়োজনেই “উচ্চবগ”/নিম্নবর্গ' ধারণাটির Bes) এর সংজ্ঞা নির্ণয় করা হয়েছে
সামাজিক সম্পর্কের সেই সমতলে যেখানে ক্ষমতাই হল মূল কথা। অর্থাৎ যেখানে
৬