জীবনানন্দ নিয়ে প্রবন্ধ | Jibanananda Niya Probanda

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যেতেছ জাগায়ে, ছেড়া দেহে-- ব্যথিত মনের ঘায়ে ঝরিতেছ জলের মতন, রাতের বাতাস তুমি-_বাতাসের সিম্ধকু-_ঢেউ তোমার মতন কেউ নাই আর | এই passage-foa একমাত্র weak point হচ্ছে রধির কথাটা | তা ছাড়া একেবারে নিখুত ৷ এতে melody না থাক, music আছে একটা SIV উদাস সুরের meandering | থেমে-থেমে পড়তে হয়--তবে সুরটি কানে ধরা পড়বে। AAA ACSA, বাতাস তুমি | বাতাসের, সিন্ধু, ঢেউ] তোমার, মতন কেউ; নাই আর সুরেশ | অনিল। সুরেশ । অনিল। সুরেশ । অনিল। তা তো বুঝলাম, কিন্তু “ছেড়া দেহ” | ঠিকই---দেহ কথাটা এখানে সঙ্গত হয়নি। শরীর কথাটাকে তো তিনিই [জীবনানন্দ] জাতে তুলে দিয়েছেন। তবে দেহ কথাটাও তো কেবলমাত্র অভিধানগত নয়। দেহ সম্বন্ধে আপত্তি করবার কিছুই ছিলো না, কিন্তু ছেঁড়া! ছিন্ন না বললে মানে বোঝো না নাকি? ছেড়া শুনলেই হাসি পায়। অনভ্যাস। সয়ে গেলেই এর সৌন্দর্য ধরা পড়বে । দ্যাখো, এতদিনে আমাদের এ-কথাটা উপলব্ধি করা উচিত যে সংস্কৃত আর বাঙলা এক ভাষা নয়, স্কৃতের সঙ্গে বাঙলার নাড়ির বাধন বহুকাল ছিড়ে নাড়ির বাধন বহুকাল ছিড়ে গেছে। বাঙলা এখন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, সাবালক ভাষা-_তার ব্যাকরণ, তার বিধি-বিধান, তার spirit সংস্কৃত থেকে আলাদা ।......অথচ, আশ্চর্যের বিষয় বাঙলা কবিতা এখন পর্যন্ত সংস্কৃত কথাগুলোর প্রতিই পক্ষপাত দেখাচ্ছে, সংস্কৃত convention গুলো এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি; আমাদের কবিতায় এখনো সুন্দরীরা বাতায়ন-পাশে দাড়িয়ে কেশ আলুলিত করে দেয়, মুকুরে মুখ দেখে, চরণ অলক্তক-রঞ্জিত করে, শুভ্র ও শীতল শয্যায় শোয় । আমাদের নায়িকাদের এখনো হস্তে লীলাকমলমলকে বালকুন্দানুবিদ্ধং ইত্যাদি, যদিও ও-সব ফ্যাশান দেশ থেকে বহুকাল উঠে গেছে। সংস্কৃতের দুয়ারে এই কাঙালপনা করে আর কতকাল আমরা মাতৃভাষাকে ছোট করে রাখবো? আমাদের ভুল জীবনানন্দ দাশ বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হয়: ভাষাকে যথাসম্ভব খাটি বাঙলা করে' তোলবার চেষ্টা তার মধ্যে দেখা যায়। তিনি সাহস করে লিখেছেন ' সেই জল মেয়েদের স্তন ঠাণ্ডা শাদা-_বরফের কুচির TSS | ১৬



Leave a Comment