For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)' অবতরণিকা ৩' যায় নাই। কিন্তু বিজ্ঞান হিসাবে রমায়নের চর্চা না হইলেও বহুবিধ শিল্পে
রলায়মের নানা প্রকার ব্যবহারিক প্রয়োগ কয়েক 'হাজার বৎসর হইতে
চলিয়] আসিতেছে । অতি প্রাচীন কালে সর্বপ্রথমে ভারতবর্ষে ষে এই
শাস্তের বিশেষ অনুশীলন হইয়াছিল, একথা আচার্য প্রফুল্পচন্দ্র নিশ্চিতরূপে প্রমাণ
করিয়াছেন । প্রায় সেই সময় চীনদেশেও বোধ হয় অল্লবিস্তর রসায়ন-চর্চ।
হইয়াছিল, সেই প্রাচীন হিন্দূ-সভ্যতার যুগে এদেশে বিভিন্ন খমিজ পদার্থ
হইতে নানারূপ ধাতু প্রস্তুত হইত। তখনকার দ্বিনেও আয়ুর্বোদ-শাস্ত্রবিদ্গণ
ভারতে গাছপালা ও নানা খনিজ হইতে Gay প্রস্তুত করিতেন, ইহাতে যে
মানা রকমের রাসায়নিক প্রস্তুতি-প্রণালীর প্ররোজন হইত তাহাতে সন্দেহ
নাই। সুধু ব্যবহারিক fre হইতেই ময়, দার্শনিক দিক হইতেও হিন্দুর
রসায়নের গভীর পর্যালোচনা করিয়াছিলেন | খ্রীষ্টের জন্মের ছয়-সাত শত বৎসর
পূর্বে হিন্দ দাশনিক কণাদ বস্তুর গঠন সম্বন্ধে “তাহার পরমাণুবাদ প্রচার
করিয়াছিলেন | রমায়নশাস্ত্রের উপর হিন্দুদের এই অধিকার কয়েক শত বৎসর
অন্ততঃ অক্ষুঃ ছিলে । কেননা, দ্বিতীয় Teta মধ্যভতাগেও নাগাজুনকে
আমরা বিভিন্ন ব্যবহারিক রসায়নের প্রণালী উদ্ভাবন sfan খ্যাতি লাভ
করিতে দেখি | তাঁহার কোন কোন প্রণালী আজ পর্যস্তও অনুসরণ কর হয়।
হিন্দ-সভ্যতার সঙ্গে মংঘর্য ও সংস্পর্শের ফলে রসায়ন গ্রীসে প্রবেশ লাভ
করেণ গ্রীক-সভ্যতার যুগে রসায়ম সেখানে বিস্ততভাবে আলোচিত
হইয়াছিলণ fadfestiy হইতে আ্যারিস্টোট্ল ate বহু খ্যাতনামা! গ্রীক
দার্শনিক জড়-পদার্থের গঠন ও উপাদান সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রচার করেন ।
সপ্তম শতাব্দীর মধ্যতাগে গ্রীস হইতে রসায়ন মিশরে স্বীয় প্রভাব বিস্তার
করে। মিশরীয়গণ etal নীল-উপত্যকার কালো মাটিতে এবং আলেকজেন্জিয়ার
ধাতু ও কাচ প্রস্ততিতে এই সকল মতবাদের বছল প্রয়োগ দেথা «fs
মিশরের একটি নাম ‘fafa অর্থাৎ 'কালো জমি”--এই “কিমিয়া' নাম হইতেই
সম্ভবতঃ রসায়দের বর্তমান ইংরেজী নাম ‘Chemistry’ Ces! মিষ্ুরীয়
যুগের শেষে আরবীয়গণ মিশর হইতে অনেক, রাসায়নিক পদ্ধতি ও a
আনিয়া, বাগদাদে উহার প্রচনন করেন। সেই সময় রসায়নের ap
হইয়াছিল 'আ্যালকেমি” এবং আ্যালকেমিবিদ্দের প্রধান ছিলেন জাবের!
জাবের এবং তাঁহার সমসাময়িক কয়েকছ্ন বৈজ্ঞানিক বছররুযের-