For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বিটের পথে ৩ হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেছে। এক এক সময় দেখেছি বাস্তবের কঠিন
আঘাতে গ্রামের শান্ত স্থনিবিড ভাবটি আচমকা ভেঙ্গে গেছে। গ্রামের
জহিরুদ্দি আর খরুশেখ দলবল সহ পাট ও ধানের ভাগ নিয়ে লড়াইয়ে
মেতেছে । লাঠি-বল্লমে সঙ্জিত সংগ্রামিকেরা । চকিতে থেমে গিয়ে
পথ করে দিয়েছে আমাদের স্কুন্দের পড়,য়াদের। এতটা হানাহানির
মধ্যেও বিবেক ও বিচারবুদ্ধি amy উচু করে দাড়িয়েছে। সেদিনের স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ শুধু বাংলার শিক্ষিত মনকেই
নাড়া দেয়নি, গ্রামের চাষী মজুরের প্রাণকেও তা দোলা দিয়ে গেছে।
এরাও সুর করে গাইতো, “ছিল ধান গোলাভরা-_ শ্বেত ইন্দুরে করল
সার ক্ষুদ্িরামের ফাসীকে উপলক্ষ্য করে অশিক্ষিত চাষীর se
জাগত ভাটিয়ালী স্থুর “এবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি”। এক এক
সময় আনমনা হয়ে যেতাম এ গান শুনে,__কখনও বা তন্ময় হয়ে
থাকতাম। মুকুন্দ দাসের স্বদেশী যাত্রা বাংলার কুটিরে প্রবেশ করেছে
ঝডের বেগ নিয়ে ; মধ্যবিত্ত সমাজের কচি কিশোর প্রাণে দিয়ে গেছে
প্রলয়-দোলা, শাসকদের উদ্দেশ্যে কচি হাতের তর্জনী-_অলক্ষ্যে {CT
উঠেছে-_-কণ্ঠে জেগেছে রুদ্রবীণা-_“সাবধান সাবধান, আসিছে নামিয়া
স্যায়ের দণ্ড রুদ্র দীপ্ত মুতিমান”। এক কথায় বলা যায় বাঙালী তরুণের
কণ্ঠে ছিল বজ্র, চোখে বিছাৎ-শিখা। স্কুলের বীধা রুটিনের বাইরে
হেমচন্দ্র ও নবীনচন্দ্রের কাব্য ও বন্কিমচন্দ্রের গ্রন্থরাজীর মধ্যে পেয়েছি
দেশপ্রেমের প্রেরণা । বিবেকানন্দের জীবন ও বাণী জীবনে জাগিয়েছে
অভূতপূর্ব উন্মাদনা-_পরবর্তী জীবনে দিয়েছে অভয় মন্ত্র | Digbyg “Prosporous India ( সমৃদ্ধ ভারত ) পড়তে পড়তে তন্ময়
হয়ে যেতাম প্রাচীন ভারতের সমৃদ্ধির বিপুল সমারোহের মধ্যে । স্বপ্ন
ভেঙ্গে গেলে দেখতাম শোষিত, সর্ববিভবে বঞ্চিত, দরিদ্র ভারতবর্ষকে।
ব্যথায় যখন feat হয়ে পড়তাম তখন বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের
বজ্রকঃ কানে আসত-_উতিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্যবরান্ নিবোধত”। বাদপত্র সংগ্রহ করে পাঠ করতাম। পাঠ্য পুস্তকের পরিধির