For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)Wy আছে। মুর্তির পরিচয় কিন্তু আমার নাম তাঁহারা উল্লেখ করেন নাই! তবে “গৌড়রাজ-
mars উপক্রমণিকায় সহদয় এঁতিহাসিক অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় লিখিয়াছেন--
“বিজয়সেনদেব বরেন্্রভূমির সকল স্থানে, বা তাহার বাহিরে কোনও স্থানে, অধিকার বিস্তার
করিতে সমর্থ হইয়া ছিলেন কিনা, এখনও তাহার বিশ্বাসযোগ্য fara আবিষ্কৃত হয় নাই |
**কিন্তু তাহার পুল্-পৌল্লের খ্রীবিক্রমপুর সমাবাসিত ; জয়স্ব্ধাবারে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া,
[ মুসলমান অভিযানের প্রথম প্রকোপ প্রতিহত করিয়া ] মুসণমান ইতিহাস লেখকগণের
গ্রদ্বে উল্লিখিত আছে। SEI, বিক্রমপুর অঞ্চলেও তথ্যানুসন্ধানের প্রয়োজন অনুভূত
হইয়াছে। তথায় [ অনুসন্ধান সমিতির উপদেশে ও উতসাহে ] শ্রীযুক্ত যোগেন্জ্রনাথ
ওপ্ত মহাশয়, অশেষ অধ্যবসায় বলে, অনেক পুবাকীত্তিব নিদর্শন সংগৃহীত করিয়াছেন।
বিবরণ মালায়, শিল্পকলায় এবং গ্রদ্থমালায় তাহার নানা পরিচয় সন্নিবিষ্ট হইয়াছে ।”
দুঃখের বিষয় @ সমুদয় গ্রদ্থমালার অধিকাংশই প্রকাশিত হয় নাই। আমি সে সময়ে এবং তাহার YH হইতেই এঁতিহাসিক তথ্য সংগ্রহের অন্ত উত্তর
ও দক্ষিণ বিক্রমপুরের বহু গ্রাম পর্য্যটন করিয়। “বিক্রমপুবেব বিবরণ” নাম দিয়া একখানা
গ্রন্থ লিখিয়াছিলাম, তাহাতে যে যে গ্রামে ঘূরিযাছি, সেই সেই গ্রামের এঁতিহাসিক
বিবরণ, শিমূর্তি-পরিচয়, মঠ, মন্দির প্রভৃতির বিস্তৃত বিবরণ সংগ্রহ করিযা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ
করিযাছিলাম এবং স্বর্গত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের অনুরোধে তাহার নিকট উক্ত
গ্রদ্বের পাঙুলিপি প্রেরণ করিয়।ছিলাম। ছুঃশেব বিষয় সেই বিবরণমালা মুদ্রিত হয়
নাই আর আমি সেই পাঙুলিপিও ফিরিয়] পাই নাই। সে সময়ে উহাতে এমন অনেক
গ্রামের বিবরণ সংগ্রহ করিয়াছিলাম যে সমুদয় গ্রাম চিরদিনের জন্য পদ্মা গর্ভে বিলীন
হইয়া গিয়াছে। আমার আজ এই বলিয়া দুঃখ হইতেছে যদি তাহার একটা নকল
রাখিতে পারিতাম তাহা হইলে আমাকে আর অনুতপ্ত হইতে হইত না। সে সমযে আমি
নিজের ক্যামেরা দ্বারা দুই-তিন শত মুত্তি, মঠ, মন্দিবের, মসজিদের ও দৃশ্যাবলীর চিত্র
তুলিয়াছিলাম, অনেকদিন পর্য্যন্ত সেই ০৪৯৮ ঘ০-গুলিও যত্ন করিয়া রাখিয়াছিলাম, কিন্তু
একবার প্রবাস হইতে বাড়ী আসিয়া দেখিলাম সেই ব০8৪৮০-এর কাচওুলি পুরমহিলারা
ধুইয়া yan পরিষ্কার করিয়] দেশীয় ada প্রস্ততকারীদের নিকট ডজন হিসাবে বিক্রয়
করিয়াছেন! আর এলবামের চিত্রগুলি আমার শিশু পুত্রকে ছবি দেখাইবার অছিলায়
তাহার দ্বারা বিনষ্ট করা হইয়াছে। আজ আমার পুত্র শ্ীমান্ চন্দ্রশেখর একথা শুনিয়া হয়ত
আশ্চর্য্য বোধ করিবে। কিন্তু ইহাই হইতেছে এ দেশের রীতি। কি আর করা! বন্ধুবর যতীন্দ্রমোহন রায়কে আমার গৃহীত ফোটোগ্রাফ হইতে প্রস্তুত কয়েকখানি
ব্লক ব্যবহার করিতে দিয়াছিলাম। সেই ব্লক কয়খানি ঢাকার ইতিহাস” প্রথম খণ্ড ও
দ্বিতীয় খণ্ডে তিনি ব্যবহার করিয়াছেন। প্রেসের গোলমালে আমি সেই ব্লকগুলি
আর ফিরিয়া না পাওয়ায় আবার নূতন করিয়া অনেক ব্লক প্রস্তুত করিতে হইয়াছে। 5