For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ :বাংলা দর্পণ নাটক সংগ্রহ তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে যখন সারদার জল খেতে চাওয়ার সময় ম্যাকলিন সাহেব বলে
যে, “বেটা তোকে আমি জল দিব, প্রশাপ করিয়া দিব” তখন চরিত্রটির অসভ্যতা, অমানবিকতা
ও GAGA আদিমতম রূপ আমাদের মনে ভেসে ওঠে ও চরিত্রটি পূর্ণ বিকাশ লাভ করে। ভেল-দপনণ নাটক (১৮৭৫) : দক্ষিণাচরণ চট্টোপাধ্যায় চা-কর-দর্পণ নাটক প্রণেতা দক্ষিণাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের আর একটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল
জেল-দর্পণ NSB ইংরেজ শাসকরা সাধারণ মানুষকে SPA CHCA কারণে বন্দি করে একবার
জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই তাদের জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে আসত। এর পিছনে
ছিল অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ জেল দর্পণে দেখা যায় যে, সমাজের যে কোনো মানুষকে তুচ্ছ কোনো কারণে কয়েদ
করে রাখা যেত। যে ব্যক্তি দোষী সেই-ই কয়েদীর যোগ্য। অন্যদিকে নীলচাষী ও জমিদার
(নীলদপপণে) জমিদার ও প্রজা (জমীদার-দর্পণে), চা-বাগানের কর্মী নারী-পুরুষ (চা-কর-দর্পণে)
সাধারণত এ-রকম ব্যক্তিবর্গের উপর ব্রিটিশ দমননীতি নেমে এসেছিল, অবশ্য সাধারণ মানুষরা
কিছুটা ছাড় পেত। তুলনায় জেল-দর্পণ নাটকটির বিস্তৃতি অনেকটা পরিধি জুড়ে। কারণ
সেখানে সাধারণ মানুষের যে কাউকে যে কোনো কারণে এই ফাঁদে বন্দি করা CIS | তাই
একথা বলা যায় যে, জেল দর্পণ নাটকের পটভূমি অন্যান্য দর্পণ নাটক থেকে অনেক বেশি
প্রসারিত জেল দর্পণ নাটকটির নায়ক শিবনাথবাবু ও তার দুই বন্ধু গোপাল ও তারিণীর কথাবার্তার
মধ্যে দিয়ে কাহিনির শুরু। একটি চুরির ঘটনা তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। সাধারণভাবে
নাট্যিক আবেদন নিয়ে নাটকটি অগ্রসরমান্ । এর মধ্যে নেশা করা প্রসঙ্গ আসে | অবশ্য নাট্যকার
মদ, গাঁজা, গুলি খাওয়ার বিষময় ফলকে দেখাতে চেয়েছেন। এক সময় শিবনাথবাবু ও তার
বন্ধু মধু এসে উপস্থিত হয়ে আড্ডায় মশগুল হয়। ধনী জমিদারের ছেলে শিবনাথবাবু। সময় কাটে ইয়ার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে মদের
ঠেক-এ। হাতে তার প্রচুর অর্থ | সুতরাং এ সময়ে অনেক বন্ধুও জুটে গেছে তার। এ-হেন
বাবুর আবার একটু দোষও আছে। বাবু সমাজের CHS কি-না বেশ্যালয়ে গমন করার শখ।
ঘরে আছে তার সতী Mea সুন্দরী স্ত্রী সুরবালা। যে স্বামীপ্রেমে অন্ধ | স্বামীর সবরকম দৌযষগুণ
থাকা সত্তেও সে স্বামীকে ভালোবেসে AT | পতিব্রতা নারীর 4 ‘ee’ সমসাময়িক কালের খুব
সাধারণ ব্যাপার ছিল। কলকাতার বাবু কালচারের তথ্যচিত্রটি যেন আমরা নাটকটির মধ্যে দেখতে পাই। যদিও
শিবনাথবাবুর পিতার cite প্রতাপে চারদিক তটস্থ ছিল, অর্থাৎ কি না ‘ACT গরুতে এক ঘাটে জল খেত' | কিন্তু শিবনাথবাবু যেমন অলস তেমনি অকর্মণ্য। সখের বাইজী বাড়িতে সে উপস্থিত হত। বাইজী ও রক্ষিতা বিরাজ দু'পয়সা কামাইও করতো তার CATH এবং এই
বাইজীরা দু-চার জন বাবুকে 'ফেল PACS’ পারলেই বড়লোক ACA যায়। বেশ্যাদের এ পরিচয়
খুব স্বাভাবিক এবং নাটকে তা উপস্থাপিত | বিরাজের কথায় “আমরা যে জাত, তাতে রূপটাদের
চেয়ে কাহাকে ভালবাসি না। বেশ্যারা কি বাবুদের ভালবাসে? তাদের টাকাকে ভালবাসে।
টাকা না দিলে ভালবাসা থাকে না।” (১/৩) আর এ-কারণে Paes স্ত্রী অন্যের অপবাবহারে
শঙ্কিত হয়। আতঙ্কিত ও শঙ্কিত সুরবালা একদিন তাকে বলে, “খাতাঞ্চির কাছে শুনলেম,
তোমার চারিদিকে দেনা হয়েছে, AMS প্রায় এক লক্ষ টাকা, এ ছাড়া জমিদারী বন্দক