বিদায় ক্রিকেট | Biday Cricket

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আমাদের প্রধান শিক্ষক মিঃ এ. জে. লি. ভালো খেলোয়াড় ছিলেন, এবং আমাদের সঙ্গে খেলায় আনন্দ পেতেন। খেলার জন্যে আলাদা কোনো শিক্ষক ছিলেন না। পাড়ার সমবয়সী ছেলে না থাকাতে সপ্তাহ- শেষের বা ছুটির দিনগুলোতে অসুবিধে হতো । তাই অনুশীলনের ব্যাপারটা সারতে হতো! একটা বল দিয়েই। বলে লাথি মারার অভ্যেস করে SSAA সাধ মেটাতে হতো । গ্যারেজের দরজাটা প্রতিপক্ষ করে চলতো টেনিস খেলা । নিজের তৈরী নিয়মে ক্রিকেটের পালা: চলতো | আমাদের বাড়ির পেছন দিকে ইটের তৈরী গোলাকৃতি একটা আটশো . গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক ছিলো । ওই ট্যাঙ্ক থেকে আমাদের বাড়ির কাপড় কাচার ঘরটার দুরত্ব আট ফুটের মতো! | ট্যাঙ্কের নীচের দিকটা সিমেণ্ট- বীাধানো। দরজাগুলো বন্ধ থাকতো তিন দিক দিয়ে ঘেরা জায়গাটা, মাথার ওপরে ছাদ ৷ বৃষ্টির দিনে ওইখানেই চলতো খেলা । একটা ছোট ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে ব্যাটের কাজ চালাতাম। ইটের স্ট্যাগুটায় একটা গল্ফ, বল ছুঁড়ে দিতাম আর সেটা ফিরে আসতে সেটাই মারতাম | বলটা অবশ্য প্রচণ্ড বেগে ফিরে আসতো এবং সেটাকে ওই একটা গোল স্টাম্প দিয়ে পেটানো নেহাত সহজ কাজ ছিলো না। খেলাটিকে জমাটি করার জন্যে আমি একাই কল্পনায় gue দল তৈরি করতাম খ্যাতিমান খেলোয়াড়দের নামে, এবং পর্ধায়ত্রমে coats, গ্রেগরী, কলিন্স্‌ প্রমুখদের হয়ে ব্যাট করতাম। অনেক গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট খেলার ইতি করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে মার ধমকানিতে | জায়গাটার খোলা দিকটা ‘ae’ দিক করতাম, ফলে 'অফে*র বল ধরার জন্যে ছোটাছুটি করতে হতো না। আর একটা মজার খেলা খেলতাম । পাড়ার মাঠের সীমানার দশ- পনেরো গজ দূর থেকে একটা গল্ফ, বলকে রেলিংয়ের দিকে ছুড়ে মারতাম, উদ্দেশ্য বলটাকে বিভিন্ন উচ্চতায় এবং কোণ থেকে ফিরে পাওয়া-_-এইটা ছিলো আমার বলের “ক্যাচ লোফার অনুশীলন ৷ নিভুলভাবে ছোঁড়ার ব্যাপারে এটা যথেষ্ট সাহায্য করতো, কারণ “নির্ধারিত জায়গাটি” ফসকে যাওয়া মানেই বল কুড়িয়ে আনতে দৌড়তে Awl, সময়ও যেতো অনেক | ২



Leave a Comment