বর্ধমান জেলার ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি [খণ্ড-২] | Bardhaman Jelar Itihas O Lokosanskriti [Vol. 2]

১৩খ. হোসেন শাহের মসজিদের ধ্বংসাবশেষ : মঙ্গলকোট ১৬২৪ সালে নির্মিত মসজিদে সম্রাট শাহজাহানের নাম ক্ষোদিত আছে। সম্রাটের গুরু দানেশমন্দ কর্তৃক হিজরী ১০৬৫ অন্দে নির্মিত | মসজিদটি এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত ১৪ক. লালজীর পঁচিশচুড়া মন্দির কালনার লালজী মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী অপূর্ব। পঁচিশ চূড়া বিশিষ্ট মন্দিরের অলঙ্করণ ও স্থাপতাশৈলী পোড়ামাটি শিল্পের বিরল নিদর্শন। ১৪খ. away মন্দির : এরুয়ার ভাতাড় থানার GNA গ্রামের মহারুদ্রদেবের পঞ্চরত্ব শিবমন্দিরের স্থাপত্য ও অলঙ্করণ বৈশিষ্টের দাবী রাখে। ১৪গ. জগদানন্দপুরের প্রস্তর মন্দির sora সন্নিকটে জলদানন্দপুরের রাধাগোবিন্দজীর পঞ্চরত্ব প্রস্তর মন্দিরের স্থাপত্যরীতি অনুপম। ১৫ক. সর্বমঙ্গলার মূর্তি প্রবাদ মূর্তেটি বাহিরসর্বমঙ্গলা মৌজায় চুনুরী পুকুরে নিমজ্জিত ছিল--চুনুরীরা এর পেছনে গুগ্লী ভাঙতো। কথিত আছে, মহারাজা Rais হয়ে চুনুরীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন ও বাঁকানদীর উত্তরে তৈলমারুই ও বড়বাজারের সংযোগস্থলে নবরত্ব মন্দিরে স্থাপন কবেন। এই মহারাজা সম্ভবত কৃষ্ণরাম। সর্বমঙ্গলা বর্ধমানেশ্বরী। ১৫খ ও ১৬. দরিয়ারপুরের ডোকরা শিল্প AP থেকে এসে কয়েকটি ভোকরা পরিবার আউসগ্রাম থানার গুসকরার কাছে দরিয়ারপুরে বসতি স্থাপন করে। এরা শিরেপারদু (মোম ছাঁচ গলানো) পদ্ধতিতে পিতলের কাজললতা, পেঁচা, অশ্বারোইী সমেত অশ্ব, দুর্গা মূর্তি তৈরী করে। এদের দুর্গা মূর্তি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছে। তবে অধিকাংশ শিল্পী পরিবার দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। কৃতজ্ঞতা ডঃ কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, শ্রীশডুনাথ ঘোষাল, Ueda চৌধুরী. পশ্চিমবঙ্গ পত্রিকা ১৪০৩, ডঃ বিনয় cera, শিবু চট্টোপাধ্যায় ।