ঠাকুর-বাড়ির আঙিনায় | Thakur-barir Anginai

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
‘SISA পরে নাটক রচনার নেশা রবীন্দ্রনাথকে পাইয়া বসিয়াছিল ৷ Stata সঙ্গে দেখা করিতে fatal আমি পাড়াগায়ের লোক্নাট্য আসমান সিংহের পালার উল্লেখ করিলাম। কবি আমাকে বলিলের, “তুমি লেখ না একট! গ্রাম্য নাটক।” আমি বলিলাম, “নাটক আমি একটা লিখেছি । কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ পড়ে বললেন, নাটক লেখার শক্তি তোমার নেই” কবি জোরের সঙ্গে বলিলেন, “aa নাটকের কি বোঝে? তুমি লেখ একটা নাটক তোমাদের গ্রাম দেশের কাহিনী নিয়ে। আমি শাস্তিনিকেতনের ছেলে মেয়েদের দিয়ে অভিনয় Fate |” আমি বলিলাম, “একটা প্লট যদি দেন তবে আর একবার চেষ্টা করে দেখি ।” ofa বলিলেন, “আজ নয় । কাল সকালে এসো I” পরদিন কবির সামনে গিয়া উপস্থিত হইলাম। একথা-সেকথার পরে আমার নাটকের প্লট দেওয়ার কথা কবিকে মনে করাইয়া দিলাম। কবি হাসিয়া বলিলেন, “তুমি দেখছি, ছাড়বার পাত্র নও | চোরের মন বোচকার দিকে ।” নিকটে আরও ছু-একজন ভদ্রলোক ছিলেন । তাহারা হাসিয়! উঠিলেন। কবি প্লট বলিতে লাগিলেন- “ধর, তোমাদের পাড়াগীয়ের মুসলমান মোড়লের ছেলে কলকাতায় এম, এ, পড়তে এসেছে। A বৎসর বাড়ি যায়না। এম, A, পাশ করে সে বাড়ি এসেছে । বাব! মা সবাই তাদের*পুরনো গ্রাম্য রীতিনীতিতে তাকে আদর যত্ন করলেন। কিন্তু ছেলের এসব পছন্দ হয় না। সে বলে, তোমরা যদি আমাকে এমন করে আদর- অভ্যর্থনা না করতে তবেই ভাল হত । আদর করেই তোমরা! আমাকে অপমান করছ। “ছেলেটির সঙ্গে গ্রামের অন্য একজন মোড়লের মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা far বিয়ের কথা বাপ বলতেই ছেলে রেগে অস্থির | ১২



Leave a Comment