For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)CRON তুলে ধরে অস্তর আত্মার প্রতিফলন দেখতে পান এর থেকেই লেখক উৎকৃষ্ট
মন নিয়ে উন্নত শিল্পকর্মের জন্ম দেন। অন্যান্য কৃতী ছোটগল্পকারদের মতো প্রমথনাথ বিশী তার অজস্র ছোটগল্পের
জীবনদর্শনকে তুলে ধরেছেন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে তার
পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকে রূপ দিয়েছেন ও তার ভেতর দিয়ে স্বভাবতই একটি জীবনাদর্শ
ফুটে উঠেছে। তিনি অতি দেখা ও অতি চেনা বাঙালি জীবনের সার্থক রূপকার হয়ে
বাঙালির হৃদয় রহস্যে ডুব দিয়ে উদ্ঘাটন করেছেন জীবনের সারসত্যকে। বাঙালির
জীবনের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও ঘনিষ্ঠ সংযোগ স্থাপনের জন্য জীবনের কোনো সমস্যা,
মূল্যবোধের অপচয়, সমাজ জীবনের SHS বিচ্যুতিকে ব্যঙ্গের বাণে জর্জারত করে বাঙালির
জীবনকে BAS হেম রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। তার জীবন পরিক্রমা কোনোভাবেই
খণ্ডিত সীমা পরিসরের মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি। সুবিশাল ভারতাত্মার প্রতীক রূপে আমরা
খুঁজে পাই প্রমথনাথ বিশীকে। ব্যক্তিজীবনে রাজশাহী জেলার নাটোর মহকুমার জমিদারপুত্র
হয়ে প্রাচীন এঁতিহালালিত সামস্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অনিবার্য পরাজয় তিনি মেনে নিতে
পারেননি। তবু কালের নিয়মে গভীর বেদনায় জমিদারী ব্যবস্থাকে বিদায় দিয়ে দীর্ঘ
নিঃশ্বাস ফেলেছেন এবং আবাহন জানিয়েছেন নতুন যুগকে। সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনে নিজে
বৃত থেকে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি বিচ্যুতি অনুভব করে তা দূর করবার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
গান্ধীবাদে বিশ্বাসী হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তিনি যে রাজনৈতিক
আদর্শকে তুলে ধরতে চেয়েছেন তার সাক্ষ্য রয়েছে অসংখ্য-ছোটগল্পে। কি বিশ্বযুদ্ধোত্তর
পটভূমিকায় kat ate স্বাধীনতা পর্বের এবং স্বাধীনোত্তর সমাজ জীবনের শরিক হয়ে
নাগরিক জীবন ও গ্রামীণ জীবন ধারাকে পর়্বেক্ষণ করে সমাজের ভ্রুটিপূর্ণ দিকগুলোকে
সংশোধনের জন্য লেখনীর মাধ্যমে নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। অসংখ্য ছোটগঞ্প
তার জ্বলস্ত প্রমাণ দিচ্ছে। সুদীর্ঘ বছর যুগাম্তর ও আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদনা কার্যে
নিযুক্ত থেকে একাধারে যেমন স্বদেশ চেতনার সঙ্গে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত হয়েছেন
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ঘটনার সঙ্গে পরিচয় সূত্রে গড়ে উঠেছে তার আন্তর্জাতিকতাবোধ।
রাজ্য বিধানসভা ও সাংসদের দায়িত্ব ভার নিয়ে দেশের সার্বিক কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ
করেছেন তার প্রতিফলন ঘটেছে Sra সাহিত্যে বিশেষতঃ তার ছোটগল্পের পাতায়। প্রাচ্য
ও পাশ্চাত্য সাহিত্যের বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠ করে তিনি এই দুই আদর্শের মেলবন্ধন ঘটাতে
চেয়েছেন। সত্য ও সুন্দরের পূজাবী প্রমথনাথ বিশী তার ছোটগল্জপে সবকিছুর মধ্য থেকে
এক বৃহৎ নীতিবোধ শ্রেয়বোধের আবিষ্কার করেছেন। সামান্যের মধ্যে অসামান্য, সাধারণের
মধ্যে অসাধারণত্ব এনে ধ্রুব ও শ্রেয়র সার্ক প্রকাশ ঘটিয়েছেন। ভীষণের সঙ্গে সুন্দরের,
কোমল-এর সঙ্গে কঠিনের, ক্ষুদ্রের সঙ্গে বৃহতের, বহু বিচিত্ররূপ তার ছোটগল্জে সার্থকভাবে
প্রকাশিত হয়েছে। এজন্য আধুনিক যুগের তুচ্ছতা, মালিন্য, সংশয় ও আত্মকেন্দ্রিক ভাবনার
উর্ধ্বে দেশ কাল নিরপেক্ষ মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছেন। কখনো তিনি পরলোক
জিজ্ঞাসা, নাস্তিক্যবাদ, অদৃষ্টবাদ, ধর্ম ও বিজ্ঞানকে নতুনভাবে রূপায়িত করতে চেয়েছেন ২০