জেলে ত্রিশ বছর ও পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম | Jele Trish Bachar O Pak-bharater Swadhinata Sangram

একাধিক নাটকীয় ভূমিকায় অংশ নিয়েছিলেন । বিনয়ের বন্ধু ও ‘aay হিসেবেই বোধহয় তার কাছে ছিল আমার মধাদা। যাইহোক, যখন সে-পরিচয় হলো তখন তিনি প্রায় কিন্বদন্তির মানুষ, বাঙ্গালীর বিপ্লবী যৌবনের গুরু, স্থিতধী এমন এক গীতোক্ত' 'মানুষ, এমন এক মুনি যিনি লোমহর্ষক বিপ্লবীক্রিয়ার পরমুহূর্তেই একান্ত 'বীতরাগভয়ক্রোধ” হয়ে স্থির হয়ে ঘরের এক কোণে বসে নিজের ছেঁড়া জামা সেলাই করবার জন্য সরু Tia প্রায় অদৃশ্য ছিদ্রের ভেতর দিয়ে YTS পরাতে পারেন। এমন একটি মানুষকে জানবার, সেহাকর্ষণে তার নৈকট্য পাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল । ধন্য মানি, কৃতকৃতার্থ মানি নিজেকে । গভীর বিশ্বাসে বলি, আমার এই আশী ছুই ছু'ই বিচিত্র অভিজ্ঞতার জীবনে এমন স্বদেশ ও মানবপ্রেমী, এমন fawle, এমন সহজ, সরল, এমন রাগদ্বেষহীন, স্থিরচিত্ত, সর্বত্যাগী মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি | ত্রৈলোকায মহারাজের কিঞ্চিদধিক আশী বছরের জীবনে, ইংরেজ আমলে, ত্রিশ বছরেরও বেশি কেটেছে কারাগারে- ভারতবর্ষে, আন্দামানে, ব্রম্মদেশে--নানা নিপীড়ন-উৎপীড়নের মধ্যে । চার- পাঁচ বছর কেটেছে অজ্ঞাতবাসে। পুর্বপাকিস্তানের জেলেও কেটেছে বেশ কিছুকাল। এর যে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সমস্তই তিনি বহন করেছেলেন ক্রু. শবিদ্ধ যীশুর মত, শুধু একটি স্বপ্নকে, দেশের স্বাধীনতার স্বপ্পকে জাগতিক জীবনে মূর্ত করে তুলবার জন্য। যে-স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন আজীবন, হয়তো আংশিকত তা সফলও হলো, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে দেশটাও ছু'ভাগ হয়ে গেল ॥ (ABI বহন করেও তিনি তখনকার পুর্ব পাকিস্তানের, অধুনা বাংলাদেশেই থেকে গেলেন, সে দেশের নাগরিক হিসেবেই । তিনি তা পেরেছিলেন যেহেতু ছুই দেশের মানুষের মধ্যে তিনি কোনো ংকীণু বিভেদকে স্বীকার করতেন না, এবং সে-দেশের মানুষকে