উপন্যাস সমগ্র ১ | Upanyash Samagra 1

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তাদের ভালো দেখায়। রাবেয়া তাজানে না, তবু সে হাসে। কারণে-অকারণে হাসে। রাবেয়ার কপালে, ঠিক মাঝখানে একটা কাটা দাগ আছে। ছোটবেলায় চৌকাঠে পড়ে গিয়েছিল। দুধ শেষ করে রাবেয়া বলল, 'বাজে BA ছিঃ! মা উঠে দীঁড়ালেন। বললেন, 'শুভাপুরের পীর সাহেবের কাছে যাবি এক বার?” শুভাপুরে এক পীর সাহেব থাকেন। পাগল ভালো করতে পারেন বলে খ্যাতি। শুভাপুর এখান থেকে আট মাইল। সাইকেলে ঘন্টাখানেক লাগে, কিন্তু আমি জানি পীর-ফকিরে কিছু হবে না। বড়ো ডাক্তার:যদি কিছু করতে পারে। কিন্তু আমাদের পয়সা নেই। আমার ছোট হয়ে যাওয়া শার্ট মন্টু পরে। আমরা কাপড় কিনি বৎসরে এক বার, রোজার ঈদে। রুনু এল একটু পরেই। আড়চোখে দু'-তিন বার তাকাল রাবেয়ার দিকে। না, রাবেয়া সেই FOG কথাগুলি আর বলছে না। রুনু হাই তুলল। তার ঘুম পাচ্ছে। চোখ ফুলে উঠেছে। রাবেয়ার নোংরা কথা শুনে রুনুর কেমন লেগেছিল কে জানে। রুনুর বয়স এখন COTA আগামী নভেম্বরে চৌদ্দতে পড়বে। HA বৃশ্চিক রাশি। আমার যখন এমন বয়স ছিল, তখন এ ধরনের কথা শুনে বেশ লাগত। সেই বয়সে মেয়েদের কথা ভাবতে আমার ভালো লাগত। টগর ভাইয়ের বাসায় সন্ধ্যাবেলা অঙ্ক বুঝতে যেতাম। নীলু বলে তার একটা ছোট বোন ছিল। বড়ো হয়ে এই মেয়েটিকে বিয়ে করব COCA বেশ আনন্দ হ'ত আমার । নীলুর সঙ্গে কথা বলতেও লজ্জা লাগত, কথা বেধে যেত মুখে। নীলু যখন আমার হাত ধরে টেনে বলত, 'আসুন না দাদু ভাই, লুডু খেলি।” তখন অকারণেই আমার কান লাল হয়ে উঠত। গলার কাছটায় ভার-তার লাগত। Fate কি কোনো ছেলেকে ভালো লাগে? রুনুও কি কখনো ভাবে, বড়ো হয়ে আমি এই ছেলেটিকে বিয়ে করব? কে জানে। হয়তো ভাবে, হয়তো ভাবে না। রুলু বড় লক্ষ্মী মেয়ে। এত লক্ষ্মী আর এত কোমল যে আমার মাঝে মাঝে কষ্ট হয়। কেন জানি না আমার মনে হয়, এ ধরনের মেয়েরা সুখ পায় না জীবনে। আমি রুনুকে অনেক বড়ো করব। রুনু ডাক্তার হবে বড়ো হলে। স্টেথোসকোপ গলায়, কালো ব্যাগ হাতে মেয়ে ডাক্তারদের বড়ো সুন্দর দেখায়। রুনু অঙ্ক ভালো পারে না। আমি তাকে নিজের পড়া বন্ধ রেখে এ্যালজেবরা বোঝাই। ডাক্তারী পড়তে অবশ্যি অঙ্ক লাগে না। সেদিন রুনুর অনঙ্কখাতা উল্টে চমকে গিয়েছিলাম। বেশ গোটা গোটা করে লেখা 'আমি ভালোবাসি”। পরের কথাগুলি পড়ে অবশ্যি আমি aes পেলাম। সেটি একটি ছেলেমানুষী কবিতা। আমি পৃথিবীর এই সৌন্দর্য ভালোবাসি, গাছপালা-গান ভালোবাসি--এই জাতীয়। আমি বললাম, 'সুন্দর কবিতা হয়েছে FI’ রুনু লজ্জায় গলদা চিংড়ির মতো লাল হয়ে বলল, 'যাও, ভারি তো। এটা মোটেই তালো হয় নি।” &



Leave a Comment