For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১০ স্বামী বিবেকানন্দ ও বর্তমান সমাজ দুঃসহ অভিমানে লজ্জায় বেদনায় ক্ষোভে, মনে হয়, এই ধিক্কারবাণী ঘোষণা
ফরেছেন। পরাধীন ভারতবাসীর Gay অতীত afer ও সংস্কৃতির
উত্তরাধিকার স্মরণ করিয়ে দিয়ে--জাতিকে আত্মসন্মানে উদ্ব.দ্ধ করে এভাবে
ভবিষ্যতের পথ-নির্দেশ করেছেন কবি। একজন শুধুমাত্র বিশুদ্ধ কবি-প্রতিভার
অমোঘ দর্পণে প্রতাক্ষভাবে উপলব্ধি করেছিলেন ভারতবর্মের facute-aal
আর তার নিরুপায় অথচ অন্তহীন মর্মজআলা। কিন্তু বাক্তি-জীবনের সঙ্গে
যেন যোগ নেই সেই শুদ্ধ কাব্য-চেতনার ও কবি-কল্পনার, সেই আকাশমুখী
অমল দেশাস্নবোধের, সেই বিনম্র নতজানু অশ্রুসজল দেশপ্রেমের । ঠাকুর-
স্বামীজীর মতো কর্মে ও কথায় কোনো আলজত্মীয়তা অর্জন করতে পারেন নি
siti খুঁজে পান নি জীবনে জীবন যোগ করার অভিজ্ঞান | অর্থাৎ কোনে
রুর্মযোগে যুক্ত হয়নি তার দেশপ্রেমের দৃপ্ত অনুভব। মার নরেন দত
শুধুমাত্র কল্পনায় বা হৃদয়ের অনুভবে নয়, বেদনার অশ্রুজলে ক্ষণিকের তর্পণ-
ক্রিয়ায় নয়, পরস্ত সমগ্র জীবন-যৌবন-ধন-মান সমস্ত কিছু উৎসর্গ করে গেছেন
জাতির আত্মজাগরণের সাবিক প্রয়োজনে--পরম পূজা দেশজননীর
চরণতলে। স্বামীজীর সমগ্র বাণী ও রচন|] এবং জীবনব্যাপী সমগ্র “Sta
কর্ম-প্রয়াস, সবই যেন একটি জাতির সর্বাত্মক উদ্বোধনের, সাবিক জন-
জাগরণের দিগ্বিজয়ী রণ-গীতি--দেশজননীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত উধ্বণয়ত
উজ্জ্বল হোমশিখা, অনির্বাণ শঙ্খ-ঘণ্টা-প্রধৰবনিত পুণ্ায-পবিত্র স্তোত্রমালা। ৪
স্বামীজীর স্বদেশপ্রেম ও স্বাজাত্যাভিমান ভারত-কন্যা নিবেদিতা তাই নিজের গুরুদেব সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন ঃ
“ভারতের চিন্তাই ছিল তাহার ধ্যানজ্ঞান ।” “যে মুহূর্তে আমি তাহার সহিত
ভারতবর্ষে পদার্পণ করিলাম, যেই মুহূর্ত হইতে তাহার ষৃত্যুদিন পর্যন্ত আমি
আমার গুরুদেবের মধ্যে আর এক অগ্নির নিরস্তর দহন ছালা লক্ষ্য
করিয়াছি; সে কোনে! তত্ত্ব, কোনো আধ্যাত্মিক সত্যের উপাসনা বা
উন্মাদনা নয়--দেশ জাতির ora নিবারণের প্রাণান্ত প্রয়াস ও তাহার