For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)বিভাগীয় সীপতিদের ভাষণ ৩ বৈদিক্যুগ বিষয়েই হোক কিংবা জাতীয় আন্দোলনে হেডগেওয়ার - এর ভূমিকাই হোক,
তুলে ধরা হচ্ছে এক বিকল্প ইতিহাস — প্রামাণিক তথ্য-ভিত্তিক ইতিহাসের থেকে
সেগুলি যতই দূরবর্তী হোক না কেন। এই বিকল্প ইতিহাসের উদ্দেশ্য হলো জাতিকে হিন্দু হিসেবে সংজ্ঞায়িত এবং স্বাতন্ত্র্য
চিহ্নিত করা। এই লক্ষ্যে, প্রথমত, জাতিকে ধর্মীয় ধারণার দ্বারা ব্যাখ্যা করার চেষ্টাকে
বৈধতা দান SA হয়। কারণ এর ফলে অতীতে ্বর্ণযুগ' ও সমুজ্জ্বল হিন্দুসভ্যতার
নিরবিচ্ছিন্ন ধারা দেখানো হয়। কালপরম্পরাকে পিছিয়ে দিয়ে এবং এর কৃতিত্বগুলিকে
গৌরবান্বিত করে, ভারতীয় সভ্যতা প্রাচীনতম বলে দাবি করা হয়। যা অন্যান্য সভাতার
চেয়ে অগ্রগামী বলে দেখানো হয়। দ্বিতীয়ত, এর ফলে হিন্দুদের “বহিরাগত'দের
থেকে পৃথক করা হয়, যে বহিরাগতদের আবির্ভাবের ফলে ভারতীয় সভ্যতার অগ্রগতিতে
বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সুতরাং বহিরাগতরা জাতির শত্রুস্বরূপ। বস্তুতপক্ষে বিনায়ক
দামোদর সাভারকর সমগ্র ভারতীয় ইতিহাসকেই হিন্দুদের সঙ্গে বহিরাগত
আক্রমণকারীদের মধ্যে সংগ্রামের মিলিত বিবরণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তৃতীয়ত, যা
ভারতীয় জীবনচর্চার মৌলিক বা প্রধান বলে ধরা হয়, তা PSAs AI রাজনৈতিক
বিষয় নয়, তা ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ধারণা, যা
সাম্প্রদায়িকতা তার রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই আত্মপরিচয়
থেকেই প্রেরণা গ্রহণ করেছে! সাম্প্রদায়িক ইতিহাস যে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ প্রচার করে তা হচ্ছে আবশ্যিকভাবে
চরিত্রে পুনরুখানবাদী। জনগণের সাংস্কৃতিক আচরণের মধ্যে নানা পার্থক্যগুলিকে সম্পূর্ণ
উপেক্ষা করে এটি ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিকেই ভারতীয় সংস্কৃতি বলে চিহ্নিত করে এবং
বৈদিক যুগের অতীতে তার ভিত্তি সন্ধান করে। এইভাবে সাংস্কৃতিক চিরবিচ্ছিন্ন বহমানতা
জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে এক ধরণের কালোত্তীর্ণ ব্যাপার বলে ধরে নেওয়া হয়, সাম্প্রদায়িক
HSS যে চেতনাকে প্রাচীন ভারতীয় AIF থেকে উদ্ভুত মনে করে। কিন্তু
ধর্মীয় কিংবা পুনরুখানবাদী থেকে ভিন্ন এক রকমের সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ধারণা
ওপনিবেশিক যুগে উদ্ভব হয়েছিল, যা পুনরুখ্খানবাদী না হয়েও জাতির সাংস্কৃতিক
সম্পদগুলিকে কাজে লাগিয়েছিল। ভারতীয় বুদ্ধিজীবী এবং সক্রিয় কর্মিবৃন্দের বছধা-
বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে, ওঁপনিবেশিক সাংস্কৃতিক আচরণের
পরিপ্রেক্ষিতেই, উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রবণতা পরিস্ফুট। ওপনিধোঁশক এবং এঁতিহ্যশালী এই দুধরণের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক বিকল্প সংস্কৃতির
আদি প্রচেষ্টার উদ্ভব নবজাগরণের মধ্যে বেড়ে উঠলেও, তা আবার নিজস্ব অভ্যস্তরীণ
স্ববিরোধিতার দ্বারা কমজোরি হয়েছিল। রেনেশীসের অস্ত স্থল থেকেই তাই বিকল্প