For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)৬ মৈথিলী সাহিত্যের ইতিহাস সাহিত্যকে অতিরিক্ত উচ্চাসনে স্থাপিত করায়। সংস্কৃতজ্ঞেরা মৈথিলীকে সর্বদাই
Boge পতিত, অবনীত) ভাষা বলে মনে করেছেন এবং তাই, ওঁদের মতে, এই
ভাষা শুধুমাত্র চটুল সাহিত্য সৃষ্টির পক্ষেই যোগ্য | এইজন্যেই অতীতে আমরা মৈথিলীতে
কোনো পাণ্ডিত্যপূর্ণ বা RT সাহিত্যসৃষ্টির প্রমাণ পাই না! শুধুমাত্র এই শতকে এসেই
দেখা যাচ্ছে যে এই ভাষাভাষীদের মধ্যে মৈথিলীতে সিরিয়াস সাহিত্য রচনায় উৎসাহ
জেগেছে। অবশা, এর মানে এও হয়েছে যে নিম্নতর মানের ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা, SAAT
এবং অন্যজাতীয় মানুষ অতীতকালে মৈথিলী সাহিত্যের রচনায় বেশি উৎসাহ দেখিয়েছেন।
আর এভাবে সংস্কৃত সাহিত্যের আদর্শ ও ধারণার ভারে মৈথিলী সাহিত্য ভারগ্রস্ত হয়ে
যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। এঁরা সেকালের মৈথিলী সাহিত্যকে এভাবে ধীরে
ধীরে জনসাধারণের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে পেরেছিলেন যা অন্যথায় রাজকীয়
এবং শাসকীয় পৃষ্ঠপোষকতার সাহায্যে হওয়া অসম্ভব ছিল। মিথিলার ধর্মীয় জীবন মিথিলায় কোনোদিনও ধর্মীয় সংকীর্ণতা দেখা দেয়নি। মিথিলায় কোনো কালেই কোনো
নতুন ধর্মের প্রচার ও প্রসার হয়নি। হিন্দু মৈথিলেরা সাধারণত বর্ণাশ্রমধর্মেই বিশ্বাসী
এবং সামান্যত সমস্ত হিন্দু দেবী-দেবতার সাধক। যে তিনটি প্রধান দেবচরিত্র যুগে যুগে মৈথিলদের Bars ও উদ্বুদ্ধ করেছেন তারা
হলেন শিব, শক্তি ও বিষণ । মৈথিলেরা এই তিনজনকেই সমমানের মনে করেছেন এবং
তিনজনকেই বরদানের ক্ষমতাসম্পন্ন বলে মনে করেছেন। মৈথিল ব্রাহ্মণদের কপালে
একসঙ্গে যে ত্রিবিধ তিলক দেখা যায় এ থেকে এই বৈশিষ্ট্যই প্রমাণিত হয়। পবিত্র wea
তিনটি আনুভূমিক রেখা তাদের শিবনিষ্ঠার প্রমাণ দেয়, তদুপরি Gees চন্দনের
চিহ্ন প্রমাণ করে দেয় তাদের বিষ্ণুতে বিশ্বাস এবং রক্তচন্দনের বা সিঁদুরের ফৌটা থেকে
তাঁদের শক্তিতে ভক্তিকে NANG | শিবসাধনাই অবশ্য মিথিলাবাসীদের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়। একাদশীর চেয়ে
কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতেই পূর্ণ উপবাসের অধিকতর জনপ্রিয়তা, বিশেষ বিশেষ শুভ-অবসরে
মাটির তৈরি হাজার হাজার শিবলিঙ্গের পূজা, এই বিশ্বাস যে মাত্র শিবই পরম মুক্তির বর
দিতে পারেন। এমন আরো নানান ব্যাপার একথাই প্রমাণ করে যে সাধারণ মানুষের
হৃদয়ে শিবের স্থান কেমন গুরুত্বপূর্ণ। এইজন্যেই শিবসঙ্গীত মিথিলার একটি বৈশিষ্ট্য।
এই সঙ্গীত দু'খরনের-_ “ABA ও 'মহেশবাণী” | Toa হলো সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় মন্ত্রগীতি
এবং অন্যটি হলো সাধারণভাবে হরগৌরীর বৈবাহিক জীবন-বিষয়ক গান। বিদ্যাপতি
থেকে চন্দা ঝা-রযুগ পর্যন্ত, কবিরা অপূর্ব নচারী ও মহেশবাণীর রচনা করেছেন। এইজন্যই
'আইন-ই-আকবরী' (১৫৯৮ থ্রি.) Bawa একটা বৈশিষ্ট্যরাপে 'নচারী'-র উল্লেখ
করেছে ১। এবং এইজন্যেই শতসহস্র মৈথিল তীর্থযাত্রী কপিলেশ্বর বা পশুপতিনাথের ১। ব্লক্ম্যান-কৃত অনুবাদ, খণ্ড ৩, পৃ ২৫২। উদা: বাংলা ছন্দ 'লাচাড়ি'।