বিপ্লবের কথা [সংস্করণ-১] | Biplaber Katha [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সমস্ত বিপীবের একটি সাধারণ লক্ষণ বিপ্লবের, তার চরিত্র যাই হোক না কেন-_ সামস্ততান্ত্রিক, OTe বা সমাজ- তাস্ত্রিক-- ইতিহাস লক্ষ করলে তার একটি সাধারণ চরিত্র ধরা পড়ে । এটা ঠিক যে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে, এক শেণী দ্বারা অপর শ্রেণী নিপীড়িত হতে থাকলে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে নিপীড়িত cold বিপ্লব করে । তবে একথা ঠিক নয় যে কেবল নির্যাতিত হলেই নিপীড়িত শ্রেণী বিপ্লব করবে । বিপ্লবের জন্ম হতাশা থেকে নয়, আশা থেকে 1 শুধু পড়ে পড়ে মার খেলেই জনসাধারণ ape হয়ে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তা নয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ভবিষ্যৎ দিনের আশা, স্বপ্ন। হতাশায় মানুষ মুষড়ে পড়ে, আশায় উদ্দীপ্ত হয়। তাই দেখা গেছে, বিপ্লবের সময় নিপীড়িত শ্রেণীর অধিকাংশই fe faq cole করে, আর সেই শ্রেণীরই অগ্রসর অংশ ভবিষ্যতের FA বলে তাদের উদ্দীপ্ত করে। বিপ্লবের সময় এই শোষক CHT বা শাসক cate সঙ্গে শোষিত বা শাসিত Ca দ্ব্ব WIS হয়ে ওঠে । ১৬৪০-এ ইংল্যাণ্ডে, ১৭৭৬-এ আমেরিকায়, ১৭৮৯-এ ফ্রান্সে অভিজাত সামস্ত শ্রেণীর সঙ্গে বুর্জোয়াদের দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠেছিল | ১৯১৭ সালে রাশিয়ায়, ১৯৪৯ সালে চীনে বুর্জোয়| Calta সঙ্গে সর্বহারা CaN দ্বন্ব তীব্র হয়ে ওঠে | যখন HG তীব্র হয়ে ওঠে তখন বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের এক অংশের wees জন্মায় শোষিত ও শাসিতদ্রের প্রতি । তারাই তখন বিশ্লেষণ করে শাসনের, শোষণের war | ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য সবকিছুই একমুখী হয়ে ওঠে শাসিত শ্রেণীর জাগরণের উদ্দেশ্যে । নতুন দিনের স্বপ্ন রচনা করে তারা, এবং সেই স্বপ্ন যে বাস্তবে সম্ভব তার ব্যাখ্যা করে অর্থনীতি রাজনীতি সমাজনীতি দিয়ে | এই FG যখন তীত্র আকার নেয়, তখন শোষক শ্রেণীর মধ্যে, শাসক শ্রেণীর মধ্যে ae দেখা দেয়। যে-সংহতির সঙ্গে কাজ করলে শাসিত cae বিদ্ঞোহ দমল করা ASI, যে নিষার সঙ্গে সমাজ পরিবর্তন ক'রে নতুন অর্থনীতি বিষ্াস ক'রে সমাজের ভাঙন রোধ করা সম্ভব, সেই সংহতি সেই নিষ্ঠা তাদের আর থাকে না। অদূরদর্শিতার ফলে তারা পুরনো এঁতিহ, পুরনো Weasel আকড়ে থাকে, তাও Woes AT) এদের মধ্যে যাদের মানবিক বোধ প্রবল, তারা বেরিয়ে এসে যোগ দেয় শাসিত শ্রেণীর সঙ্গে । এটা সব বিপ্লবেরই একট) সাধারণ লক্ষণ |



Leave a Comment