For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)( Noe ) ‘nace এমন ভাবে আর কেহ চিহ্নিত করিতে পারেন নাই। এই ছুইয়ের
বৈলক্ষণ্য এবং স্ব-স্ব লক্ষণ আমি যেরূপ ব্যাখ্যাপূর্ঝক নির্দেশ করিয়াছি, তাহাতে
মনে হয়, বাংলা ছন্দের রূপনির্ণয়ে, তথা ছন্দোবিপ্লেষ-ব্যাপারে, অতঃপর
সকল সংশয় দূর হইবে-_ছন্দ পরিচয়ের ( Prosody ) মূল প্রয়োজন তাহাতেই
সাধিত হইবে; এঁ একটি চাবির দ্বারাই বাংলাছন্দের সকল gata খুলিয়া
যাইবে--'তান-প্রধান” “ম্বরাঘাত-প্রধান” প্রভৃতি বিভীষিকার সম্মুখীন হইতে
হইবে Al | মধুষ্ুদনের অমিত্রাক্ষরের যে পরিচয় আমি দিয়াছি তাহাই হইল এই গ্রন্থ-
রচনার মুখ্য অভিপ্রায়; বাংলা ছন্দ সম্বন্ধে আমি যাহা কিছু লিখিয়াছি তাহা, এক
অর্থে এ ছন্দ-পরিচয়ের ভূমিকা! । বাংলার বনিয়াদী ছন্দে--পয়ার বা পদদূমক
ছন্দে--যাহার কান দীক্ষিত হয় নাই, মধুস্থদনের অমিত্রাক্ষর তাহার নিকটে একটা
নূতন ছন্দমাত্র; এজন্য ছান্দসিকগণ এই ছন্দের পরিচয় করিতে গিয়া নিজেদেরই
ছুন্দবোধের পরিচয় দিয়াছেন | ইহাতে প্রমাণ হয় যে, এই সকল ছন্দ-পণ্ডিত
বাংলাছন্দের মূল সঙ্গীত Shaq করিতে পারেন নাই। আমি এমন কাহাকেও
দেখিলাম না, যিনি এই ছন্দমম্বন্ধে যথার্থ ধারণা করিতে পারিয়াছেন, বরং এখানে
ঠেকিয়াই সকলের বিদ্যা-বুদ্ধি বানচাল হইয়াছে। কেহ তাহার নামকরণ
করিয়াছেন 'অমিতাক্ষর”,--কেহ বা তাহার প্রবহমানতা'কেই একমাত্র লক্ষণ
ধরিয়া, ছড়ার ছন্দযকেও সেই গৌরবের অধিকারী করিতে দ্বিধা বোধ করেন নাই;
এমন কি, এই অমিত্রাক্ষর ছন্দের পূর্ণ-পরিণতি সাধন হইয়াছে রবীন্দ্রনাথের দ্বারা
--এ-হেন মন্তব্য করিতেও বাধে alt আমি এই অমিত্রাক্ষরকেই বাংলার
ছান্দসিকগণের ছন্দোবিদ্যার একমাত্র পরীক্ষাহ্থল বলিয়| স্থির করিয়াছি।
মধুস্থদনের সেই ছন্দ সবিস্তারে ব্যাখ্যা করিয়৷ আমি বাঙালী সাহিত্যিকের একটা
বড় ঝণ পরিশোধ করিয়াছি। গ্রন্থের পরিশিষ্ট ভাগে আমি যে কয়েকটি বিষয়ের আলোচনা করিয়াছি, তাহার
সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলা নিশ্রয়োজন ; কেবল ইহাই বলিলে যথেষ্ট হইবে যে,
ছন্দ-পরিচয় প্রসঙ্গে এগুলিরও প্রয়োজন ছিল; এগুলিতে শুধুই বাংলা-ছন্দের
কয়েকটি বিশিষ্ট রস-রূপের পরিচয় নয়--এমন আলোচনাও আছে, যাহা কাব্যরস-
বিচারেও অতিশয় মূল্যবান |