বঙ্গ মনীষীদের রঙ্গ রসিকতা | Bango Monishider Rango Roshikata

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রঙ্গ রসিকতা মৃত্যুর পর স্বর্গবাস ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নানা ধরনের ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা করতেন। তার এক পরিচিত ব্যক্তি হঠাৎ প্রথমা পত্নীর বিয়োগের পরেই আবার বিবাহ করলেন। ব্যক্তিটির দ্বিতীয় বিবাহের পর একদিন বিদ্যাসাগরের সঙ্গে দেখা। বিদ্যাসাগর তাকে হাসতে হাসতে বললেন, “বন্ধু তোমার তো দেখছি মরার পরেই স্বর্গবাস।” বিদ্যাসাগরের কথার অর্থ বুঝলেন না ব্যক্তিটি। তিনি জিগ্যেস করলেন, “কেন? স্বর্গবাস কেন?” এবার বিদ্যাসাগর রসিকতা করে বললেন, 'আমরা তো মৃত্যুর পর কিছুদিন নরকযম্ত্রণা ভোগ করে তারপরে স্বর্গে যেতে পারি। কিন্তু তুমি (তা দেখছি মর্ত্যেই নরব যন্ত্রণা ভোগ করে মৃত্যুর পর সোজা স্বর্গে যাবে। নয় কি ?' ব্যক্তিটি এবার বিদ্যাসাগরের কথার অর্থ বুঝে হেসে ফেললেন। একগুঁয়ে এঁড়ে বাছুর বিদ্যাসাগর ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন খুব একপুঁয়ে ৷ তিনি যা ভালো মনে করতেন তা তিনি প্রাণপণে করতে চেষ্টা করতেন। কখনো কখনো তিনি ঠিক Tew কাজ করতেন বলে জানা যায়। যেমন, তাকে স্নান করতে নিষেধ করা হলে তিনি জোর করে স্নান BATH | আবার Ail করতে বলা হলে সেদিন স্নান করতেন a | তার একগুয়েমী স্বভাবের কথা সেই সময় কারো অজানা ছিল না। কেউ কথায় কথায় তার এই একশগুয়েমীর প্রসঙ্গ তুললেই তিনি রঙ্গ রসিকতা করে বলতেন, * কেন একগুঁয়ে হবো না? আমার ঠাকুরদা রামজয় আমার্র জন্ম সময়ে আমাকে গ্রঁড়েবাছুর বলেছিলেন | আর জ্যোতিযের গণনায় আমার জন্ম “বৃষ লগ্নে। তো আমার একগুঁয়েমী থাকবে না তো কার থাকবে? কী বলো হে তোমরা?” FATT বিদ্যালয় পরিদর্শক বিদ্যাসাগর একবার গ্রামের এক বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গেছেন। সেখানে এক সাধারণ মধ্যবিত্ত sere বিদ্যাসাগরকে তার গৃহে দুপুরের আহার করবার নিমন্ত্রণ জানালেন | গৃহস্থের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারলেন না বিদ্যাসাগর তিনি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ও খেতে বসে রান্নার প্রতিটি পদের প্রশংসা করতে লাগলেন। মধ্যবিত্ত গৃহস্থ এতে আনন্দ পেলেন। এই সময় উপস্থিত ওই গ্রামেরই এক ১৬



Leave a Comment