যুগ পুরুষ বিদ্যাসাগর [সংস্করণ-১] | Yugapurush Vidyasagar [Ed. 1]

অনেকটা রাখালের মতো gre ছিলেন ৷ wey লেখাপড়ায় তার প্রবল আগ্রহ ছিল এবং এই একটি বিষয়ে ছাড়া স্থবোধ গোপালের সঙ্গে তার চরিত্রের বিশেষ আর কোন মিল ছিল না। পাঁচ বছর বয়সে তিনি পাঠশালায় ভতি হন 1 সনাতন সরকার নামে এক গুরুমশায়ের পাঠশালা পাততাড়ি বগলে করে তিনি রোজ পাঠশালায় যাতায়াত করতেন | সেকালের গুরুমশায়দের মতো সনাতন ছাত্রদের প্রহার করতে খুব পটু ছিলেন | ছুরস্ত ঈশ্বরচন্দ্রের পিঠে প্রায়ই সনাতনের বেতের দাগ দেখা যেত। গঠাকুরদাস ভয় পেয়ে কালীকান্ত নামে অন্ত একজন গুরুমশায়ের পাঠশালায় ছেলেকে পাঠালেন | “বর্ণ পরিচয়ে” বিদ্ঠাসাগর লিখেছেন 3 “গোপাল যখন পড়িতে যায়, পথে খেলা করে না, সকলের আগে পাঠশালায় যায়” । বিদ্যা- সাগর নিজে তা কখনই যেতেন না। পাঠশালায় যাতায়াতের পথে তিনি প্রতিবেশীদের নানাভাবে উপদ্রব করতেন । যারা শুচিবায়ূগ্রস্ত তাদের দরজার সামনে ময়লা আবর্জনা] ফেলে দিতেন, যাতে দরজা খুলেই তারা তলেবেগুনে চটে TS | প্রতিবেশীর ভয় দেখালে তিনি আদৌ otis করতেন না, বরং তাদের বিরক্ত করার জন্য তার আরও জিদ্‌ বাড়ত। বালক ঈশ্বরচন্দ্র প্রতিবেশীদের যেভাবে জ্বালাতন করতেন, রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন “বর্ণ পরিচয়ের সর্বজননিন্দিত রাখাল বেচারাও বোধ করি এমন কাজ কখন করে নাই” | গ্রামবাসীরা নয় শুধু, বেচারা গাছপালাও মুখ বুজে বালক ঈশ্বরচন্দ্রের উপদ্রব HY করত | পাঠশালার পথে পাকা ধানের ছড়া, যবের ছড়া, আম জাম কাঠাল পেয়ারা ইত্যাদি যাবতীয় ফলমূল যা ASU যেত সব তিনি খেতে খেতে যেতেন | কখন যে পাঠশালায় পৌঁছতেন তার ঠিক থাকত a | একবার ধানের ১৫