শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবন | Sharatchandrer Rajnaitik Jiban

শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবন ¢ উভয়েই অতি অমায়িক, সদালাগী, বৈঠকী গল্পে API স্ভৃতীয়তঃ, উভয়েই তাম্রকুটের একনিষ্ঠ সেবক, স্মানাহার ও নিদ্রার সময়টুকু ছাড়া সিগারেট, PRE বা গড়গড়৷ কোন না কোন একটার সঙ্গে বিযুক্ত অবস্থা তাদের বড় হত ql) আর এ ছাড়া দু'জনেই ছিলেন রবীন্দ্রনাথের পরম Sel জানি না এই সকল কারণপরশম্পরার জন্যই নির্মলচন্দ্রের সঙ্গে শরৎচন্দ্রের সবচেয়ে বেশী অস্তরঙ্গতা হয়েছিল কিন! ? কংগ্রেসের কাধ্যপরিচালনার ব্যাপারে দেশবন্ধু-পরিষদে যখনই কোন ছুরূহ বা জটিল সমস্তযয/র উদয় হত, তখনই শরৎচন্দ্রের মন্ত্রণ al হলে চলত না। মন্ত্রণা-দানে তার দক্ষতা ছিল অসাধারণ। কোন ছটিল ব্যাপারের গ্রন্থি-মোচনের জন্য রথী রথী কর্মীরা যখন বৃহৎ টেবিলের চারিদিকে জটলা পাকিয়ে বসে' মাথা কোটাকুটি করতেন ও সমস্যার গোলস্ধাধার মধ্যে হাবুডুবু খেতেন, শরৎচন্দ্র তখন একান্তে বসে” পেয়ালার পর পেয়ালা চায়ের ধোয়া! মুখ থেকে পেটে ঢোকাতেন এবং একট! মোটা PH চুরুটের ধোয়া টানে টানে মুখ থেকে নাক দিয়ে বার করে দিতেন । সকলে যখন হায়রাণ ও দিশেহারা হয়ে পড়তেন, তখন তিনি সহসা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে একটি মোক্ষম পরামর্শে সমস্তার দফা! রফা করতেন Vs একদিন আলোচনা শেষ হতে অনেক রাত্রি হয়ে যেত | ফেরবার ট্রাম পাওয়া যেত না, ট্যাক্সি ভাড়া করে' তিনি গৃহে ফিরতেন। অধিক রাত্রে অবসন্ন ক্লাস্ত দেহে ট্যাক্সিতে হেলান দিয়ে লুঠিত-মস্ত $ নিদ্ব।লু অবস্থায় যখন তিনি" গৃহে ফিরে আসতেন, তখন তাকে “দেখে পাড়ার অনেক ছুই লোক মনে করত যে, তিনি আক পান করে' আড্ডা বিশেষ থেকে ফিরে আসছেন। এসব কথা তারা বলাবলিও করত, তার কাণেও আসত ; কিন্তু তিনি কখনও কোন