চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে ত্রিপুরা | Chalachitra Prasange Tripura

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বা গায়ক, কখনো ডিউক, কখনো এর মত পোলো খেলোয়াড় আপনারা দুনিয়া ঘুরেও খুঁজে পাবেন না। দু'একটা ছোট খাটো দোষ আছে। আধপোড়া সিগারেট কুড়িয়ে ইনি খেতে ভালোবাসেন, কিংবা বাচ্চাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া যে কোন খাবার । তবে AAG ভীষণ | ভবঘুরের পরিক্রমা সেই গুরু আর তা চললো বিরামহীন ভাবে বহুদিন | তার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সত্যজিৎ রায় তাই সঠিকভাবে বলেছেন যে,“'পৃথিবীতে যদি চলচ্চিত্র নামক মাধ্যমটির অস্তিত্ব কোনদিন না-ও থাকে তাহলেও চার্লি চ্যাপলিনের উপস্থিতি থেকে যাবে।” ভাষা, জাতি, সংস্কৃতির বাধা ছাড়িয়ে আজ যে ভাবে চার্লির অবাধ প্রবেশ ঘটেছে পৃথিবীর এক ANS CAE আরেক প্রান্তে, সে প্রেক্ষিতে দীড়িয়ে এটা অনস্বীকার্য যে মানুষের হৃদয়ে তার উপস্থিতি আরো বহুদিন থাকবে | রোজগারের জন্য অভিনয়কে তিনি পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন । অভিনয় করে প্রচুর রোজগারও করেছেন। মৃত্যুর সময় তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল সতেরো কোটি ডলার | গোড়ার দিকে অবস্থাটা কিন্তু এরকম ছিল AT | বাল্যকাল কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে । মা ছিলেন অভিনেত্রী, চট্ুল অভিনয় করতেন। বাবা ছিলেন wot | অভিনয় তিনিও করতেন। সে সব দিনে নেশা করা ছাড়া উপায়ও ছিল না। বিশেষ করে অভিনেতাদের সব থিয়েটারেই মদের দোকান | পর্দা পড়লেই নিয়ম ছিলো অভিনেতারা দোকানে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে বসে মদ খাবে। কোনো কোনো থিয়াটারে টিকিটের আয়ের চেয়ে মদের দোকানের আয়ই বেশি হতো। কোনো কোনো অভিনেতাকে যে বেশী মাইনে দেয়া হতো তা সেই শিল্পীর গুণের বিচারে নয়। মাইনে থেকে পাওয়া অর্থের বেশীর ভাগটাই সে মদের দোকানে দিয়ে আসতো শুধু সেই Ge | চার্লি বাবাকে তার জন্মের পর থেকে মার সঙ্গে থাকতে কোনদিন দেখেন নি। তার মা ও মাসী অল্প বয়সে ঘর থেকে বেরিয়ে মঞ্চে যোগ দেন। আঠারো বছর বয়সের সময় এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোকের সঙ্গে তিনি আফ্রিকা চলে যান। সেখানে চ্যাপলিনের দাদা সিডনির Gry | কিছুদিন পর সিডনিকে নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডে চলে এলেন। চার্লির বাবার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ করে। লগুনের ওয়াল ওয়ার্থের ইস্ট লেনে ১৮৮৯-র যোলই এপ্রিল রাত আটটায় চার্লির জন্ম হয়। তার সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত কোন কিছুর অভাব ছিল না। মায়ের অসুস্থতা এবং বাবার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছদ-এ ঘটনাগুলো তাদের সামাজিক অবস্থান এক ধাক্কায় নামিয়ে দিয়ে যায় অনেকখানি | সিডনি ও চার্লি দু'ভাইয়ের ছেলেবেলা কেটেছে মায়ের সান্নিধ্যে শুধু মা। এই তিনজনের সংসার | প্রতি রাতে থিয়েটার থেকে ফিরে টেবিলের ওপর মা তাদের জন্য কিছু না কিছু রেখে দিতেন। হয়ত একটা দামী কেক নয়ত অন্য কোন মিষ্টি। এই মা'র সম্বন্ধে তিনি জানাচ্ছেন-মার বৈশিষ্ট ছিল চটুল চরিত্রে অভিনয়, প্রগলভ, ভূমিকায় তাকে মানাতও CA | বয়েস ত্রিশের কাছাকাছি, রং ফর্সা, বেগুনী-নীলাভ চোখ, আর এক মাথা হালকা বাদামী রঙের pal পিঠ ছাপিয়েও অনেকখানি, ইচ্ছে করলে পেতে বসা যায়। চোখ ধাঁধানো সুন্দরী নন, তবু দেখলে মনে হতো যেন মুখখানি বড় পবিত্র। সেই মায়ের সঙ্গে পাঁচ বছর বয়েস থেকে চার্লি মঞ্চে যেতেন। মা গান গাইতেন, অভিনয় করতেন আর চার্লি উইংসের আড়াল থেকে দেখতেন। মার গাওয়া বেশ কিছু গান চার্লি নকল করে গাইতে পারতেন। সে কথাটা থিয়েটার কোম্পানীর ম্যানেজার জানতেন। একদিন মঞ্চে গান গাইতে গাইতে চার্লির মা'র গ্লা বসে যায়। গলা দিয়ে বিকৃত স্বর বেরুতে থাকে। শ্রোতাদের মধ্যে অধিকাংশ সেনাবাহিনীর লোক ছিল। পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে ১৬



Leave a Comment