বর্তমান যুগে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের পটভূমিকার কিছু দিক | Bartaman Juge Trade Union Andolaner Patabhumikar Kichu Dik

অনুন্নত দেশ ও জনগণের মধ্যে । অন্যভাবে বলা যায় যে এই ঠাণ্ডা যুদ্ধ পুঁজিবাদী নতুন বিশ্বায়নের শক্তি ও ব্যবস্থা বনাম সমগ্র জনগণের মধ্যে। এবং এই পর্যায়ের ঠাণ্ডা যুদ্ধ প্রধানত জারি হয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে। কিন্তু দুই ঠাণ্ডা যুদ্ধের মর্মের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। শ্রেণী-সংগ্রাম অভ্রাত্তভাবে বহাল উভয় ক্ষেত্রেই। নতুন বিশ্ব-বাত্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র পরিবর্তন ঘটেছে রূপের। ঠাণ্ডা যুদ্ধের ধারণা এক আরোপিত প্রসঙ্গ ছিল। আরোপিত এই অর্থে যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ শব্দের অস্তরালে ছিল সমাজতন্ত্র ও সামাজ্যবাদী-_দুই ব্যবস্থার দুই মেরুতে অবস্থান ও শ্রেণী সংঘর্ষকে প্রকৃত মর্ম থেকে গোপন করা। কোন কোন অংশ এমনভাবেও প্রস্তাব করেছিল যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে অর্থাৎ তথাকথিত সম-সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে কৃত্রিম সংঘর্ষ, কিন্তু আসলে সহাবস্থানের প্রতীক। এদের মতে দৃশ্যত যেসব বিরোধ-সংঘর্ষ চলেছিল, সেগুলি ছিল মেকী ও উভয়ের মধ্যে আশু স্বার্থ বিরোধের প্রতিফলন মাত্র। কিন্তু, মতাদর্শগত সহ অন্যান্য বাস্তব দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গ বাদ দিয়েও, এখন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় স্বয়ং নির্ধারকভাবে প্রমাণ করছে যে দুই ব্যবস্থার বিরোধ cost ছিল না, ছিল প্রকৃত। শ্রেণী-সংগ্রামের একটি নির্দিষ্ট wa ও রূপ হিসাবেই Ol ছিল বলবৎ। আর শ্রেণী-সংঘর্ষ অনক্তক্রম্য বলেই প্রথম Stet যুদ্ধের অবসানে পূর্বোক্ত দ্বিতীয় ঠাণ্ডা যুদ্ধের উদ্ভব ঘটেছে। সুতরাং, ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসান হয়েছে-_এই ঘোষণাকারীদের উদ্দেশ্যের মধ্যে খ্রেণী-বিরোধকে অস্বীকার করার চেষ্টা আবারও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে শ্রেণী-সংগ্রামের নতুন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে। বিশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠত্বের অপর প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই কাল-পর্বে অবিস্মরণীয় “ব্যাটল অব আইডিয়াজ'-এর পরিসরে। যে মুল দুই ধারাতে এই ভাবাদর্শগত স্তরের সংগ্রাম সভ্যতার সুদূর অতীত থেকে শুরু হয়েছিল, তা' অজস্র শাখা-প্রশাখাতে বিংশ শতাব্দীতে ছড়িয়ে পড়া শুধু নয় ঘনীভূতও হয়েছে। উত্তালময়তা ও বৈচিত্র্য আজও সেগুলি ভাস্বর রয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতির বৈশিষ্ট্যের জ্য প্রবেশ করেছে এক BUSA পর্বে মাত্র। প্রতি যুগেই শ্রেণী-সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মতাদর্শের স্তরে সংঘাত চলেছে। কিন্তু অতীতে তা' কখনো বিশ্বময় রূপ পরিগ্রহ করেনি, যেমনটি করেছে বিংশ শতাব্দীতে। অতীতের ংগে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ঘটিয়ে মতাদর্শগত সংগ্রাম এই শতাব্দীতে মাত্রা পেয়েছে প্রায়োগিক Wra— জীবনের ও সমাজের সমত্ত ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক, রাষ্ট্রনেতিক ও অর্থনৈতিক wa পূর্বের সমত্ত ধারাগুলি প্রাথমিকভাবে দুই মূল ধারায় সুসংবদ্ধ হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর পূর্বপটে দু'টি এঁতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে | প্রথমটি হলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর প্রথম জাতীয় মুক্তি আন্দোলন-_ ১৭৭৬-১৭৮২ সালব্যাপী আমেরিকার স্বাধীনতা-যুদ্ধের সূচনায় 'ডিক্লারেশন অব ইণ্ডিপেনডেন্স'-এ “স্বপ্রকাশিত সত্য” ও “অপসারণের অসাধ্য অধিকার” হিসাবে সম্পত্তির অধিকারের নীতিকে রাষ্ট্রে আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠার দ্বারা। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে প্রথমটির ৭২ বছর পর ১৮৪৮ সালে মার্কস- এঙ্গেলস রচিত “ম্যানিফেস্টো অব দা কমিউনিস্ট পার্টি "র প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ঘোষিত হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির অবসান ও শোষিত মানুষের শৃঙ্খল-মুক্তির অখগ্ুনীয় ও অনিবার্য অধিকার। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এসে 2 দুই মতবাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই ales শক্তির নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী ‘aba অব আইডিয়াজ'-এর প্রবাহ সৃষ্টি করে। মতাদর্শ একবার সৃষ্ট হওয়ার পর, সেটির অস্তিত্ব সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়ে পড়ে সেটির উদ্গাতা- শক্তির থেকে, যদি সামাজিক নিয়ম ও সত্য-র অব্যাহত সমর্থন থাকে সেই মতাদর্শের পিছনে। তাই সোভিয়েত ইউনিয়নের অবসানের দ্বারা সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের অবসান বোঝায় না, যেমন বোঝায় না সমস্ত কলোনিগুলি বাহাত সাম্রাজ্য-হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সত্তেও সামাজ্যবাদী মতবাদের অবসানের। উভয়ের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হবে সেই Ga ফলাফল এখনও অর্জিত হয়নি। ফলে “Broa অব আইডিয়াজ'-এর অবসানের পরিবর্তে, বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের জটিল ও বিভ্রাড্তিকর বাস্তবতা O বর্তমান যুগে Ge ইউনিয়ন আন্দোলনের পটতূমিকার কিছু দিক 0১৯