উদ্বোধন [বর্ষ-৫৯] | Mdbodhan [Yr. 59]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 উদ্বোধন যাহা সনাতন ATR ও ধর্মে নিহিত থাকিয়াও এতদিন প্রচ্ছন্ন ছিল-_তাহা 'পুনরাবিষ্কত হইয়া উচ্চনিনাদে জনসমাজে ঘোষিত হইতেছে ।” অতীতে, যুগে যুগে দেশে দেশে নানা ধর্ম প্রচারিত হইয়াছে-_ভবিষ্যতেও দেশকালের প্রয়োজনে যুগপ্রবর্তক মহাপুরুষগণ আরও কত নূতন নুতন ভাব লইয়| আসিবেন; অতীত ও অনাগতের সন্ধিক্ষণে, বর্তমানের মহামুহূর্তে আমরা সর্বভাব- waa যে মহাভাৰবটি পাইয়াছি- তাহা যেন হৃদয় দিয়া বরণ করি, জীবন দিয়া আচরণ করি। এখানে গ্রহণ আছে-বর্তল লাই। বোধন আছে-_ বিসর্জন ale, আবাহন আছে- বিদায় নাই। মানবের বিভিন্ন প্রকৃতি অন্যায়ী কেহ জ্ঞানের, কেহ ভক্তির, কেহ ধ্যানের, কেহ কর্মের অনুরাগী — যে কোন একটি ভাব অবলম্বনে অথবা একাধিক বা সর্বভাবসম্্য়ে মানব অন্তর্বহিংপ্ররতে জয় করিয়া মুক্ত হইতে পারে-_ অনন্তের অন্ভূতি॥ অমৃতত্বের আম্বাছ পাইতে পারে, ইহাই ধর্মের সার Fel | ইহাই স্বামী বিবেকানন্দ-ঘোষিত সর্বমনের উপযোগী ধর্মের নূতন সনদ! ইহারই সহায়ে সর্বাঙগসুন্দর মানবসমাজ গঠিত হইবে, জগৎ এখনও তাহারই জন্য প্রতীক্ষারত। বিবেকানন্দের খবিদৃষ্টিতে উদ্ভাসিত-শুধু ভারতের নয়, সমগ্র পৃথিবীর ayaa ভবিষ্যৎ যাহা জ্ঞানে গরীয়ান্‌, ধর্মে মহীয়ান। দ্মধ্যাত্মশক্তি- সম্পন্ন উন্নততর এক উদার মানবজাতির অভ্যুদয়-__ ইহাই স্বামীজীর স্বপ্ন_ ইহাকে বাস্তবে পরিণত করাই ভারতের বিধিনিদিষ্ট মহাত্রত। স্বামীঞজীর এই স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন নয়, কৰিকল্পনা বা নিছক শুভেচ্ছাও নয়়--ইহা শুৰ্চচিত্তে প্রতিভাত সত্য, বিরাট মনের দিব্য অনুভূতি, স্বামীজীর সমাগত জন্মদিনে আমরা যেন বুঝিতে পারি, বিশ্বাস করি_ স্বামীজীর যুগ পশ্চাতে নয়, সম্মুখে। [ €৯তম বর্ষ ১ম সংখ্যা বিজ্ঞানের পুনজ ay কথা উঠিয়াছে বিজ্ঞান, তথা বিজ্ঞানের উপর প্রতিঠিত বর্তমান যঞ্ত্রনির্র সভ্যতা ব্যর্থ হইতে চলিয়াছে। যুদ্ধের পর যুদ্ধের রক্তপিছল পথ দিয়া মাহষ আজ ধ্বংসের পথেই অবরোহণ করিতেছে; দুই যুদ্ধের মাঝে স্বাসরুদ্ধ আতঙ্ক আরো অনিশ্চিত, আরো দুঃসহ । কে জানে মানুষ আবার আলো- qisizela আদিম অন্ধ গহ্বরে ফিরিয়া চলিয়াছে কিনা; বুঝিব) গুলিবিদ্ধ বোমারু বিমানের মত তাহার এত সাধের, এত সাধনার বর্তমান সভ্যতা জ্বলিয়া পুড়িয়া নিঃশেষে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে শুধুমাত্র ভস্মরাশি উড়িয়| ছড়াইয়া পড়িবে পৃথিবীর stra তাহার শেষ নিদর্শনস্বরূপ ! হয়ত বা এই জীবধাত্রী বসুন্ধরা, BARA APIA জননী পৃথিবীও নিস্তার পাইবেন al তাহার হুরস্ত সম্ভানদের পারমাণবিক বিস্ফোরণের হাত হইতে! বিজ্ঞান- স্হায়ে ক্রমশ: BQ SKA মারণাস্ত্রসমূহের যে তালিকা মাঝে মাঝে বিভিন্ন রাই্কত/ক সগোৌরবে প্রকাশিত হয়-__আস্ফালনের মত-_ তাহাতে সাধারণ মানের মনে A প্রকার ভয় উৎপন্ন হওয়া বিচিত্র aa, বরং স্বাভাবিক | কিন্তু আশ্চর্য রহস্তয-_যে মনে এই মরণভীতি/ তাহাতেই আবার লুক্কায়িত মরণজয়ের সংকল্প ও ATH | এই মানের মনই একদিন সংকীর্ণ ধর্ম- বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করিয়া সত্যের সন্ধানে SAIS] শুরু করিয়াছিল। নবলন্ধ বিজ্ঞানের বলে মানুষ জলে স্থলে আকাশে বাতাসে সর্বত্র তাহার বিজয় নিশান উড়াইয়াছে । পৃথিবীর গর্ভে, সমুদ্রের তলদেশে, পর্বতের উচ্চতম শিথরে, কোথায় সে যায় নাই? নদীর উৎস-সন্ধানে শ্বাপদসংকুল ঘনবনে, বিপদ্সংকুল হিমবাহে_ সববত্র তাহার গতি অপ্রতিংত। মেরু ও মরুর নির্জনতা ভাঁঙিয়া সে শহর বন্দর পত্তন করিয়াছে, আবার শান্তরাত্রির নীরব অন্ধকারে মুখর নগক্ষত্র-নীহারিকার



Leave a Comment