বিহারীলালের কাব্য-সংগ্রহ [সংস্করণ-২] | Biharilaler Kabya-sangraha [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[৩৬] উক্ত প্রবন্ধ হইতে বিহারীলাল-সম্ধবে আরও একটি জ্ঞাতব্য কথা এস্কলে আমরা উদ্ধৃত করিতেছি £-_ “সাধারণ্যে কবিতা-প্রচারে তাঁহার বড় এফটা লালসা ছিল all অনেক অপ্রকাশিত fas afas কবির প্রকাশ করিবার ছিল; তথাপি কবি প্রাণান্তে হ-জ-ব-র-ল করিয়া তাহা সাধারণ্যে প্রচার করিতেন না। কবি স্পষ্ট বলিতেন--কবির কবিতার প্রাণ অনেক সময় থাকে AT, সব সময় আসেও না;স্ততরাং যে প্রাণে লেখা হইয়াছে, সেই প্রাণে আর একবার না দেখিয়া কিছু প্রচার কর| কবির SGA নয়। এক সময় কোন লেখক কোন বাঙ্গালা মাসিক পত্রিকার জঙ্ত স্বর্গীয় কবির নিকট তাঁহার অপ্রকাশিত কবিতাবলীর একটি মাত্র কবিতা চাহিয়াছিল, কিন্ত কবি তাহা প্রদান করিতে afi প্রকাশ করেন। বলা বাহুল্য, লেখককে কবি পুত্রবৎ সে করিতেন। বারংবার কবি এ জন্য লেখক কর্তৃক অন্রুদ্ধ হইয়া শেষে স্পষ্ট বলেন-__তুমি আমার বিশেষ cata পাত্র বটে, কিন্তু আমার কবিতা তোমার অপেক্ষা র্ব্বাপেক্ষা অধিক CHET ; এমন অন্যায় অনুরোধ আমাকে আর করিও না ।” দার্শনিক কবি দ্বিজেন্জ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বিহারীলালের “সঙ্গীত শতক' পাঠে মুগ্ধ হন এবং তাঁহার সহিত স্বত:প্রবৃত্ত হইয়া আলাপ করেন। তাহাদের এই আলাপ ক্রমে গাড় বন্ধুত্বে পরিণত হ্য়। তাহারা পরস্পরে আলাপ-আলোচনায় যখন প্রবৃত্ত হইতেন, তখন তাহাতে উভয়েই এমনই ast হইয়া যাইতেন যে কাহারও মময়ের জ্ঞান থাকিত না। তাঁহাদের প্রাণ-খোলা উচ্চ হাস্ত অনেক সময়েই প্রতিবেশিগণকে সচকিত করিয়া তুলিত। দ্বিজেন্্রনাথ বলিতেন-_“বিহারীলালের হাড়ে হাড়ে, প্রাণে প্রাণে কবিত্ব ঢাল| থাকিত; তাঁহার রচন৷ তাহাকে যত বড় কবি বলিয়া পরিচয় দেয়, তিনি তাহা অপেক্ষাও অনেক বড় কবি ছিলেন ।” রবীন্দ্রনাথ তখন যুবক । তিনিও সেই সময়ে তাঁহার cas সহোদর দ্বিজেন্দ্রনাথের সহিত বিহারীলালের বাটীতে প্রায়ই যাইতেন। বিহারীলালকে তিনি যে শুধু শ্রদ্ধা করিতেন, তাহ নহে; মনে মনে তাঁহাকে গুরুর পদে বরণ করিয়াছিলেন। বিহারীলালের মৃত্যুর পর ১৩০১ সাঁপের 'সাধন!' পত্রিকায় তিনি “বিহারীলাল' শীর্ষক যে প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন, তাহাতে বিহারীলালের নিকট তাঁহার খণ-স্বীকারের Fal অকপটে উল্লিখিত হইয়াছে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত 'সমালোচনা-সংগ্রহ? নামক পুস্তকে রবীন্ত্রনাথের এ উৎকুষ্ট সন্দ্ত মুদ্তিত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের ন্যায় সে সময়ে আরও যে সব উদীয়মান কবি ও লেখক মাহিত্য-বিষয়ক উপদেশ- গ্রহণের জন্য বিহারীলালের নিকট বেশী যাওয়া-আস! করিতেন, তাঁহাদের মধ্যে অক্ষয়কুমার বড়াল, রাজকুষ্ণ রায়, অধরলাল সেন, প্রিয়নাথ সেন, স্থরেশচন্দ্র সমাজপতি, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, নরেন্জ্রনাথ aye ary লাহার নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য । বিহারীলালের we ও শিষ্যগণের মধ্যে অক্ষয়কুমারের উপরই তাঁহার প্রভাব বেশী পরিলক্ষিত হয়। অক্ষয়কুমারও তাহাকে গুরু বলিতে গর্ব ও গৌরব BREA করিতেন। তিনি বণিতেন,-_বিহারীলালের THUR প্রকাশিত হইবার পর সরেন্দ্রনাথ মজুমদারের প্রসিদ্ধ কাব্য “মহিলা” রচিত হয়। তখনকার কালের বিখ্যাত সমালোচক ক্ষেত্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় “এডুকেশন গেজেটে! 'বঙ্গহন্দরী'র যে সমালোচনা করিয়াছিলেন, মেই সমালোচনার ইঙ্গিতেই “মহিলার জন্ম |



Leave a Comment