নির্বাচিত বুলবুল | Nirbachita Bulbul

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ যুগের মন আমরা করছি কিন্তু তার উল্টো। বিজ্ঞানবাদকে আমরা বলছি জড়বাদ এবং জড়বাদকেই ভেবে নিয়েছি নাস্তিকতার রকমফের | কিন্তু আসলে বিজ্ঞানবাদ জড়বাদ মাত্র কিনা এবং নাস্তিকতার সঙ্গে তার মিল কোথায় কতটুকু সেটা নিতাস্তই বিচার্য্ বিষয়। আমাদের মনে আস্তিকতার যে-রূপ, তার সঙ্গে বিজ্ঞানবাদীর আস্তিকতার মিল নেই, এইটুকু মাত্র fafa বলা যেতে পারে। আমাদের ভগবান আমাদের নাগালের বাইরে; তিনি আমাদের আরাধ্য মাত্র, আর কিছু নন। তিস্ঞানবাদীর কারবার জ্ঞানাতীত ভগবানকে নিয়ে নয়; তার পরিচয় জান্তে সে Ayers, তাকে দূর থেকে আরাধনা BOG AF | বিজ্ঞানকে আমরা নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত ক'রে দেখছি তার একটা কারণ, বিজ্ঞানবাদ এখনো পরিপূর্ণরূপে মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জ্ঞানের সাধনার অস্ত কোথায় জানা নেই; এতে কিছু মুশ্কিল ছিল না যদি মানুষ তার গোটা জীবনটাকেই জ্ঞানগতির সঙ্গে সঙ্গে চালিয়ে নিতে পারত। মানুষ তা পারেনি, কেননা স্বভাবতই সে সাবধান এবং এই জন্যে সাধারণতঃ সে রক্ষণশীল, এই কারণে যেখানে বিজ্ঞানবাদ বিশেষ ক'রে তার আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেখানেও মানুষের জীবনের এক দিকের সঙ্গে আর এক দিকের মিল ভালো জ'মে ওঠেনি; এমন কি, অনেক জায়গায় এক দিক হয়ে পড়েছে আর এক দিকের প্রতি একেবারে মারমুখো। যারা একটু সাহস দেখিয়ে জীবনের এই কেটে-যাওয়া তালটাকে আবার নূতন ক'রে বাধবার আয়োজন করছে তারা প্রচলিত ধর্সম্মকে তাড়াচ্ছে। এতেই জ্ঞান-সাধনার সঙ্গে বিশ্বাসগত ধর্মের সে সহজ বিরোধ তা অত্যস্ত স্পষ্ট হ'য়ে উঠেছে, এবং বিজ্ঞানবাদকে অতি ভীষণ রকমের নাস্তিকতা ব'লে প্রচার PTA সুযোগ খুবই বেড়ে গেছে। জোর গলায় বলা হচ্ছে : আধুনিক যুগের জ্ঞান-সাধনা স্কুল জড়বাদ মাত্র, তাতে আধ্যাত্মিকতা বিন্দুমাত্র নেই; তার মূলে শুধুই ভোগ, নইলে ধর্শ্ম তাদের কী ক্ষতি করেছে? বিশ্বাসগত val ভোগ চায় না। এইজন্যে তাকে আশ্রয় ক'রে জীবনের দুর্ভোগ কতখানি বেড়ে উঠেছে, তার হিসাব মানুষের মনের খতিয়ানে লেখা পড়ছে এবং আরো পড়ৃবে। আপাততঃ দেখ্বার এইটুকু যে আধ্যাত্মিকতার রূপাস্তর ঘটেছে। আধুনিক মনের কাছে ভোগ ও আধ্যাত্মিকতায় কোনো লড়াই নেই, কারণ এরা এক । ABS অস্বীকার নয়, কিন্তু তাকে পাওয়ার জন্যে সৃষ্টির বাইরে হাতড়ানোর চেষ্টাও নয়। শিল্পী-মনের SE শিল্পের বাইরে মেলে না; কাব্যের বাইরে কবির খোঁজ নিতাস্তই বৃথা। বিজ্ঞানবাদ মানুষকে এই সহজ তত্ত্বের পথে তুলে দিয়েছে। সৃষ্টিকে জান্বার বুঝবার জন্যে একনিষ্ঠ এঁকান্তিক প্রযত্ন, এ কিসের জন্যে? তার সঙ্গে জীবনকে মেলানো, এই হ'ল পরমানন্দ। জীবনের সাচ্ছন্দ্য বিধান অর্থাৎ পরিপূর্ণ ভোগের ভিতরেই হ'ল আনন্দের অভিসঞ্চার। সেই হ'ল আধ্যাত্মিক জীবনের পরম ANS যাকে বলি ভোগ, সেই হ'ল ATH (enjoyment); আর এনজয়মেন্ট মানে সৃষ্টিতে আনন্দ জাগিয়ে তোলা, তাকে আনন্দে পরিণত করা। এইখানেই সৃষ্টিব সঙ্গে জীবনের CNA, PSS সৃষ্টিপরায়ণ মনের যে-তত্ত্ব তার সঙ্গে মানুষেব মনের যোগ। রহস্যবিলাসী কবির বাণী : “বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো!” বিজ্ঞানবাদীর আধ্যাত্মিক সাধনার এই পথ। এখানে বিজ্ঞানসাধনা এবং আধ্যাত্মিক সাধনা দু'য়ে মিলে এক হয়ে গেছে। এই পথে চল্তে গিয়ে নবসৃষ্টির জন্মবেদনাতুর মানুষ ACH তাড়াচ্ছে, শুন্তে বড্ড খাপছাড়া লাগে। ওতে আমাদের ভয় পাওয়া উচিত TH | যাকে ছাড়ব্যর জন্যে মানুষের সম্ঞান প্রয়াস হ'তে পারে এবং যাকে ছেড়ে সে চল্তেও পারে, তার জন্যে কাতরতা মমতার, বুদ্ধির নয়। তথাপি একথা বলতে হবে যে CCH মানুষ ছাড়তে পারে না এবং বস্তুতঃ সে তাকে ছাড়ছেও না। আমার OF আমার আধ্যাত্মিকতা, সে আমার জীবনকে ছেড়ে নয়, এই কথাই সে ACR! জীবন সচ্ছন্দ হলেই সুন্দর হল, মানবচিত্তের আনন্দ-আহরণের শক্তি জেগে Goa, অর্থাৎ তার ধর্মকে সে নিবিড়ভাবে লাভ করলে। মনের এই শক্তিকে বাড়ানোর চেষ্টা বিজ্ঞানবাদী বিবিধপ্রকারে কর্ছে, এই তার ধর্য্মসাধনের প্রণালী দুঃখকে জয়, তাকে স্বীকার ক'রে নয়, তাকে লঘু ক'রে, হয়তো fae করে, এ- কাজ তাকে কত্তে হবে এবং সে PAYS | মানুষের কল্যাণ-আয়োজনের SANG চেষ্টা BIAS | সে প্রয়াস কত বিশাল, কত AGS | কত দিকে কত রূপে তার প্রকাশ! তার বিপুল প্রসার, তার বিরাট সম্ভাবনা, তার অপরূপ বৈচিত্র্য এক আনন্দময় ভবিষ্যতের ইঙ্গিত | যুগের মনে তার ক্ষীণ রম্মিপাত হয়েছে। তার অস্ফুট আলোকে মানুষ যেন নিজের উচ্চতার পরিমাণ উপলব্ধি করেছে, পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্য্যন্ত তার পূর্ণ অবয়বের সন্ধান পেয়েছে।



Leave a Comment