তুলনামূলক আলোচনায় রামায়ণ ও মহাভারত | Tulanamulak Aalochanay Ramayan O Mahabharat

[xvi] ভূমিকা রামায়ণ ও মহাভারত উভয় মহাগ্রসইথই ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসের আকর aca আমাদের নিকট উপস্থিত হইয়াছে। ভারতবর্ষে এমন এঙ্থানিও গ্রন্থ নাই যাহাকে WQS, গুরুত্ব ও বিশালতার বিচারে ইহাদের সঙ্গে একাসনে স্থান দেওয়া যাইতে পারে। রামায়ণ আদিকবি বালশ্মীকি ও মহাভারত মহর্ষি বেদব্যাসের রচিত বলিয়া ভারতবাসী ঢিরকাল বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছে। seas মধ্যেও উভয় মহাকবির নাম ALPS রূপে স্ব স্ব রচনায় উল্লিখিত seca তবে WUE ও ব্যাস উভয়েই সংকলক | তাহারা উভয়েই ব্যাস। বিষ্ণুপুরাণ বাশ্মীকিকেও ব্যাস বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। ব্যাসের ধারণা যখন জন্মলাভ করে তখন বেদই ছিল। বেদের সংকলন করিয়াছেন স্বয়ং ব্রম্মা। তিনিই আদি ব্যাস। বিষ্ণুপুরাণে উনত্রিশজন ব্যাসের কথা বলা হইয়াছে। ব্যাসের কাজ জাতীয় জীবনে যাহা কিছু শুভকর বা মূল্যবান সেইগুলিকে সংকলন করিয়া সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছাইয়া দেওয়া। রামায়ণের ব্যাস বা সংকলক APH ভারতবর্ষের যাহা কিছু মহনীয়, এশ্বর্যমণ্ডিত, খণ্ড খণ্ড ইতিহাস, লোক-গাথা, যেগুলি প্রাচীন সমাজজীবনের মৌখিক GSTS প্রবহমান সম্পদ তাহা অনুসন্ধান করিয়া সংগ্রহপূর্বক শ্লোকবদ্ধ রূপে মানুষের সম্মুখে উপস্থাপিত করিয়াছেন। ছন্দবদ্ধ FAAS লৌকিক শ্লোক প্রথম তাহারই প্রতিভা-প্রসূত। area বিরহ- যন্ত্রণা যাহার প্রধান উৎস। তাহারই লেখনী-মুখে লৌকিকছন্দ প্রথম আত্ম-প্রকাশ করিয়া করুণ রসাত্মক রামায়ণকাব্য গড়িয়া ওঠে | তাই একাধারে বাঙ্মীকি যেমন আদিকবি তেমনি তাহার রামায়ণকাব্য মানুষের আদিকাব্য। তিনি দেবতাদের প্রাধান্য স্বীকার করিয়া মানুষকে দেবতার কক্ষে উন্নীত করিয়াছেন। বৈদিক যুগে দেবতার মহত্ত বর্ণনা করিবার যে রীতি-নীতির প্রচলন ছিল ails তাহার পরিবর্তন ঘটাইয়া তাহার কাব্যে মানুষের জয়গান গাহিয়াছেন। তাই কেবলমাত্র এক বা কয়েকটি গুণ নহে মর্যাদা-পুরুষের যাবতীয় গুণে anes সকল মানবিক পএশ্বর্যে মহিমান্বিত মানুষকেই তাহার রামায়ণ কাব্যের নায়ক করিতে চাহিয়াছেন।২ দেবর্ষি মারদ আদিকবি বাশ্মীকিকে এবস্বিধ ৮৬৯৪ সন্ধান দিয়াছেন। “নারদ কহিলা ধীরে, অযোধ্যার রঘুপতি রাম।” ১. আদিকাব্যমিদং ত্বার্যং পুরা Ae কৃতম্‌॥ রামা. ৭।১১।১৬ ২. এতদিচ্ছাম্যহং CNS. পরং কৌতুূহলং হি মে। wet ত্বং সমর্থোইসি Showa ARTI ১।1১।৫