For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এক ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক
স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৬৮ সালের তেসরা মার্চ-ভোরবেলা। তিন AH, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র
দত্ত ও বিহারীলাল es আই. সি. এস. পরীক্ষায় বসার জন্য “সুলতান” নামের মেল
স্টিমারে টাদপাল ঘাট থেকে ইংল্যান্ড রওনা হয়ে গেলেন। সেদিন তাদের তিনজনকে
তুলে দিতে এসেছিলেন সুরেন্দ্রনাথের পিতা এবং সেই সময়ের ধন্বস্তরীসদৃশ বিখ্যাত
চিকিৎসক ডা. দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে উল্লেখ করতেই হয় যে ওই তিনজন
ছাত্রই পরবর্তী জীবনে বিখ্যাত হলেও সুরেন্দ্রনাথই শুধু সাফল্যের উচ্চতম শিখরে পৌছে
গিয়েছিলেন যখন কৃতজ্ঞ দেশবাসী তাকে ভারতের জাতীয়তাবাদের জনক বলে স্বীকৃতি
জানিয়েছিল। ১১ এপ্রিল ১৮৬৮-তে তিনজনই ইংল্যান্ডে পৌছে উঠলেন গিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের
প্রথম সভাপতি ব্যারিস্টার উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের লন্ডনের বাড়িতে। কিছুদিন পরে
সুরেন্দ্রনাথ ল্যাটিনের অধ্যাপক ইলির বাড়িতে চলে যান। সেখানেই শুরু হয় সিভিল
সার্ভিস পরীক্ষার জন্য নিরলস wale | একই সঙ্গে আবার শুরু হয়ে যায় লন্ডন
ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যাপক হেনরি মরলোর কাছে ইংরেজি এবং ডাক্তার থিয়োডর
গোল্ডস্টকের কাছে সংস্কৃতি শিক্ষাও শুরু হয়ে যায়। ১৮৬৯ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হয়। সে বছর মোট
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৩০। যার মধ্যে ভারতীয় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল চার। চার
জনেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোলমাল বাধালেন কমিশনাররা তাঁদের মতে
সুরেন্দ্রনাথ ও শ্রীপাদ বাবাজির বয়স পরীক্ষা চলাকালীনই কুড়ি পার হয়ে গিয়েছিল।
তাই তাদের দুজনের নাম তালিকায় রাখা গেল না। এই অন্যায়ের বিহিত করতে সুরেন্দ্রনাথ
কালবিলম্ব না করে Queen’s Bench-9 আপিল করে META তার সঙ্গে হাত মেলালেন
বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তি । তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দ্বারকানাথ
মিত্র, কৃষ্ণনাস পাল, মহেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামাচরণ সরকার, যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর
ও রমানাথ ঠাকুর প্রমুখেরা। সুরেন্দ্রনাথের কোষ্ঠী ও অন্যান্য কাগজপত্র খতিয়ে
দেখে Queen’s ৪০08-এর রুল জারি হল! যার ফলে কমিশনাররা সুরেন্দ্রনাথকে
সিভিলিয়ানদের তালিকায় গ্রহণ করে নিতে বাধ্য হলেন। আপিল না করেও চতুর্থ ভারতীয়
প্রার্থী শ্রীপাদ বাবাজিও অনুমিত পেয়ে গেলেন। কিন্তু গভীর পরিতাপের ব্যাপার হল
এই যে, সুরেন্দ্রনাথের সাফল্যের কথাটা Sa বাবা ডা. দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে যেতে
পারলেন না। কারণ ঠিক আগের দিন তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করে অমৃতলোকে চলে ১৫