রবীন্দ্র-আলোকে রবীন্দ্র-পরিচয় | Rabindra-aloke Rabindra-parichay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৪ জীবনযোগে জীবনে একই মঙ্গে কাজ করেছে বিজলি বাতির পজিটিভ নেগেটিভ দুই তারের AS) দুই-এর যোগেই শেষপর্যন্ত আলো জ্বলেছে,_ মুক্তিকামী দেশ ও জাতি Sta মধ্য দিয়েই যেন কথা কয়ে উঠেছে। দেশের বাধায় দেশের বেদনায় তাঁর প্রেরণাকে নিয়েছে বড়োর দিকে; ক্রমে দেশের লকলের প্রায় সবরকম সমসন্যাতেই তার মনের যোগ দেখা দিয়েছে। একটি বিষয়ের একটান৷ একটা মাত্র তার সিদ্ধির পথ নয়, অল্পবিস্তর সর্ব ক্ষেত্রেই বিষয়ের স্বীরুতি ও সাধনা তার আছে। এমন কি দেখা যাবে, এক সময়ে তিনি ব্যবসাবাণিজ্যেও পা বাড়িয়েছিলেন। অবশ্য সে ক্ষেত্রে সফল হন নি। তা না হোন, কিন্তু এর থেকে এটুকু অন্তত বোঝা যাচ্ছে, কবি হলেও সংসারের নিছক কেজে। নীরস দ্বিকটাকেও তিনি বর্জন করেন নি। শিল্প সাহিত্য ছাড়াও, জমিদারি, স্বদেশসেবা, সমাজ-সংস্কার, ধর্মর্চা, শিক্ষা- বিস্তার, রাষ্টর-আন্দোলন-_অনেক-কিছুই জীবনের এক-একটা স্তরে তাকে বাধতে এসেছিল; বাধন প'রে তিনি তাদ্বের গণ্ডিতে গেছেন, কিন্তু তাদ্বের যোগে সত্তাকে বিচিত্র ও বছরূপে পুষ্ট পরিণত ও প্রসারিত করে নিয়ে একট! সীমায় এসে ছেড়ে দিয়েছেন এক-এক সময় তাঁদের এক-একটির ALAA | তিনি কি বৈরাগী? দেখে মনে হয় তিনি Sta সেই “শিশ্ত ভোলানাথ”- এরই জাত । বয়েসের স্বাভাবিক তাগিদেই তার খেলনা চাই: সেগুলি তার অতি-প্রিয়বস্ত, কিন্তু পুনরাবৃত্তিতে মন তার বিরক্ত; নৃতনের দিকে তার নাড়ীর টান। বয়স বাড়ছে, জীবনের পরিধি বাড়ছে, খেলনা ও খেলার সাথি সব AGA হচ্ছে, পুরোনোগুলোর কাজের পালা চুকেছে বলেই ছেড়ে যেতে কোনো কিছুতেই কিছুমাত্র তার বাধছে না। সারের বাধন মেনে তিনি সংসারীও হয়েছিলেন,--স্ত্রীপুত্র আত্মীয়বান্ধবে তারও কিছু অভাব ছিল না। সেখানেও কাউকে তিনি বর্জন করেন নি, বিরক্তি দেখান নি কোনোখানে। কিন্তু ঘর-দুস্মার পরিজনের মায়া তাবলে তাকে একান্ত ঘরোয়৷ করে বাধতে পারে নি। তাঁর সাংসারিক জীবন ছিল উপর্যুপ'র আত্মীয়-বিয়োগের ছুঃসহ-ব্যথাভরা। কিন্তু এই দিকেও Ge তাকে শোকের গণ্ডিতে পারে নি একেবারে বসিয়ে ecw ; শেষ-জীবনে কালের করাল wei একে-একে মাঁয়ার বীধন যখন ছিঁড়ে দিচ্ছে, লেখনীকে বার বার যত করে দিয়ে বলছেন; “লজ্জা দিয়ো না”। তার ব্যক্তিগত কোনো দুঃখ cater শোকই কালিমার ছায়াটুকুও লাগায়



Leave a Comment