For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)নিবেদন কবি ঈশ্বর গুপ্ত সংবাদপ্রভাকরে কবি ও কবিওয়ালাদের যে জীবনী
প্রকাশ করেছিলেন, একমাত্র ভারতচন্দ্র ছাড়া তাদের কোনোটাই স্বতন্ত্রভাবে
পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় নি। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের একটা যুগের আলোচনা
করতে গিয়ে সকলেই ঈশ্বর গুপ্তের এই রচনার উপরেই নির্ভর করেছেন।
সেইজন্য কবি এবং কবিওয়ালাদের জীবনের প্রধান ঘটনাগুলি হয় তো
আধুনিক পাঠকের একেবারে অজ্ঞাত নয়। তা হলেও মূল রচনাগুলি দেখবার
স্থযোগ সাধারণ পাঠকের অনেকেরই হয় না; সেই দিক বিবেচন৷ করলে এই
জীবনীগুলির পুণমু'দ্রণের প্রয়োজনীয়ত। অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু এ ছাড়াও ‘sear প্রকাশের অন্য রকম গুরুত্বও আছে।
জীবনী Weal করতে গিয়ে ঈশ্বর গুপ্ত কবিদের যুগের নানা! ঘটনার উল্লেখ
করেছেন, ইতিহাসের পূর্ণাঙ্গ চিত্র রচনার পক্ষে তাদের মূল্য আছে।
লেখক নিজে হয়তে! এ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সচেতন ছিলেন না, কিন্তু বাঙালীর
Teas ইতিহাস-চর্চার পরিমগুলে বাস করে তিনি এর প্রভাব থেকে
মুক্ত থাকতে পারেন নি। তিনি মিজেই বলেছেন 'ইহার পূর্বে কোন
মহাশয় এতদ্দেশীয় কোন কবির জীবন-চরিত প্রকাশ করেন নাই।” লোক-
শ্রুতি থেকে সংগ্রহ করে মূলতঃ জীবনীগুলি রচিত; এগুলিকে ইতিহাসের রূপ
তিনি দিতে পারেন নি সত্য; কিন্তু উপাদান তিনি রেখে গিয়েছেন এবং
সেটুকু ale তিনি না করতেন, তবে আজও এর ইতিহাস গঠন করা যেত ANI
বর্তমান গ্রন্থটি সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রস্তুত করা হয়েছে। ভারতচন্দ্র-রচিত
মঙ্গল কাব্য, রামনিধি-রচিত bal বা কবিওয়ালাদের রচিত কবিগামের স্বতন্ত্র
রস-বিচার বর্তমান সম্পাদকের লক্ষ্য নয়; অষ্টাদশ শতাব্দীতে হুষ্ট সাহিত্যের
ব্যাপক বর্ণনাও আমার উদ্দেশ্য নয়। জীবনীকে মাত্র অবলম্বন করে সাহিত্য
ধারার সঙ্গে ইতিহাসের সম্পর্ক নির্ণয় করবার চেষ্টা করেছি। সেইজপ্ত এই
সব বিষয়ে স্বতন্ত্র এবং fags আলোচনায় ব্যাপৃত হই নি। ঈশ্বর গুপ্ত ধাদের
জীবনী রচনা করেছিলেন, তারা! সকলেরই জন্ম অষ্টাদশ শতাবীতে। সেই