অর্জুন সমগ্র ২ [সংস্করণ-১] | Arjun Samagra 2 [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বলে কেউ সন্দেহ করবে না | আচ্ছা, আসি 1” গাড়িটা বেরিয়ে গেলে অর্জুন ভেতরে এসে অমল সোমের হাতে প্যাকেটটা দিল । তিনি সেটা নিয়ে বললেন, “বেশির ভাগ অপরাধের পেছনে কাজ করে মানুষের লোভ | ও হ্যা, বিষ্ট্রসাহেব এখানে আসছেন | তখন খবরটা বলা হয়নি | কাল চিঠি পেয়েছি 1” “বিষ্ট্রসাহেব ?” চিৎকার করে উঠল অর্জন । আনন্দে । কালিম্পং-এর বিষ্্সাহেব । এখন আমেরিকায় আছেন | চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন | সে কিছু বলার আগেই অমলদা ভাঁজ করা কাগজটা এগিয়ে দিলেন, “এটা পড়ো আগে ।” কাগজটা খুলল অর্জুন । সুন্দর হাতের লেখা : “হরিপদ সেন | যা করছ তাই করে খাও । নন্দলালের সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ালে হাত খসে যাবে : কালাপাহাড় । ৷ দুই | নেতাজির স্ট্যাচুটাকে বাঁ দিকে রেখে করলা সেতুর ওপর উঠে বাইকটাকে থামাল অর্জুন | একপাশে সেটাকে দাঁড় করিয়ে রেখে রেলিঙে ভর করে নদীর দিকে তাকাল | এখন নদীর জল কচুরিপানায় Bea | Wa একটু দূরে যেখানে করলা গিয়ে তিস্তায় পড়েছে, সেখানে জল স্থির হয়ে গেছে চড়া ওঠায় | এই জায়গাটা বড় ছিমছাম, নির্জন । অর্জুন একটা সিগারেট ধরাল | গত বছর ভোট দিয়েছে সে । এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক fee জলপাইগুড়ি শহরের মানুষেরা এখনও কিছু ব্যাপার মেনে চলে । অর্ধ-পরিচিত বয়স্ক মানুষ দেখে অনেকেই সিগারেট লুকোয় । পরিচিতি বেড়ে যাওয়ায় অর্জুনের পক্ষে অচেনা মানুষকে বোঝা মুশকিল হয়ে পড়েছে। বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিতে এইরকম নির্জন জায়গা বেছে নিতে হয় সেই কারণে । পুরো ব্যাপারটাকেই তার অবিশ্বাস্য এবং অবাস্তব মনে হচ্ছে । অথচ অমল সোম বললেন, “ইন্টারেস্টিং ।” কয়েকশো বছর আগে একটি অত্যাচারী সেনাপতি কোথায় কী লুকিয়ে রেখেছিল তাই খোঁজার দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে এসেছেন হরিপদ সেন । এ যেন হিমালয়ের বরফের মধ্যে থেকে একটা Ao খুঁজে নিয়ে আসার মতো ব্যাপার | লোকটাকে স্বচ্ছন্দে পাগল বলা যেত, যদি না ওই চিঠিটা তিনি দেখাতেন | হঠাৎ অর্জুনের মনে হল, এই চিঠি হরিপদবাবু নিজেই লিখে নিয়ে আসতে পারেন ঘটনার গুরুত্ব বাড়াতে । অমলদা এটা ভাবলেন না কেন ? এমন চিঠি অন্য কাউকে দিয়ে লেখানোর বোকামি কেউ করে না, নিশ্চয়ই হরিপদ সেনও নির্বোধ নন | ভদ্রলোকের হাতের লেখার নমুনা যদি পাওয়া যেত ! কিন্তু ১৬



Leave a Comment