For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)[জ] আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে তার বিশিষ্ট পরিচয়টি পরিক্ষুট হয়নি । এষাবং
যারা বিপিনচন্দ্র সম্পর্কে কিছুমাত্র কৌতুহল প্রকাশ করেছেন, তাঁরা এই বিরাট
ও বিস্ময়কর ব্যক্কিত্বের জীবন ও চিন্তাধারার একাংশে ত্বরিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই
ক্ষান্ত হয়েছেন। ফলে সাংবাদিক, রাষ্ট্রনীতিবিদ, দেশনায়ক, দাশনিক,
সাহিত্যিক এবং সাহিত্যসমালোচকরূপে তার পূর্ণ পরিচয় আজও দেশবাসীর
কাছে অপরিজ্ঞাত রয়ে গেছে। এই অপূর্ণতা পূরণের উদ্দেশ্যেই বিপিনচন্দ
সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ গবেষণায় আমার আত্মনিয়োগ | আমার গবেষণা-পরিকল্পনাটি সংক্ষেপে বিবৃত করছি। বিপিনচন্দ্রের যথন
আবির্ভাব ঘটে ভারতবর্ষে বৃটিশ শাসনের পত্তনের পর তখন এক শতাব্দীকাল
অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এই শতাব্দীকালের মধ্যে পাশ্চাত্য সভ্যতা এবং
সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে ভারতবর্ষের, বিশেষতঃ বাংলাদেশের ধর্ম, সমাজ, শিক্ষা,
সাহিত্য এবং রাজনীতি ও অর্থনীতি-চিস্তায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে,
বিপিনচন্দ্রের আবিভণবের পটভূমি প্রদর্শনের জন্য তার একটি রূপরেখা “আদি
কথা” নামে মূল গবেষণার atafes অংশরূপে সংযোজিত করেছি। কারণ,
যুগশ্ুষ্টার| যুগেরই WE । মূল গ্রন্থ ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম তিনটি অধ্যায়ে মুখ্যত তার স্ব-
লিখিত জীবনী (বাংলা এবং ইংরেজী ) এবং atfea ভ্রমণকাহিনী অবলম্বন
করে দেশনায়করপে তার প্রকাশ্য আবির্ভাবের প্রস্তুতি পর্বের ইতিবুত্তটি বিশ্লেষণ-
যূলকভাবে বণিত হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে সাংবাদিক এবং দেশনায়করূপে
বিপিনচন্ত্রের ব্যক্তিত্বের পরিচয় পরিস্ফুট করে তার 'রা্ট্রচিন্তা'র একটি wag
রূপরেখা সংযোজিত হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়টি আয়তনে অন্যান্য অধ্যায়গুলি
অপেক্ষা বড়ো। এই অধ্যায়ে বিপিনচন্দ্রের বহুমুখী ব্যক্তিত্বের এযাবং-
অনালোকিত একটি দিকের উপর পর্যাপ্ত আলোকপাতের চেষ্টা করেছি। সে
দিকটি হচ্ছে তার সাহিত্য-সাধনার দিক । নিরবছিন্নভাবে তিনি কোনোদিনই
সাহিত্য-সাধনায় রত থাকতে পারেননি। কারণ, তিনি ছিলেন স্বদেশচর্যায়
উৎসগাঁকৃত প্রাণ। তবু স্বদেশচর্যার অবসরে তিনি যে সমস্ত আলোচন৷ ও
সমালোচনাযূলক ae রচনা করেছেন এবং পরিমাণে স্বল্প হলেও যে রস-
নাহিত্য Ve করেছেন, তার মধ্যে নিঃসন্দেহে তার সাহিত্যিক প্রতিভার প্রভা