For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)গিয়ে রেজিস্ট্রি বইতে নাম লিখিয়ে আসতে হবে এবং “ইহাতে অন্যথা না হয়”।
এই “বেশ্যা গাইড*-এ দীর্ঘ ৩১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত নানা খুঁটিনাটিসহ এই আইনের
বিভিন্ন দিক এবং বেশ্যাদের কর্তব্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
৩২ পৃষ্ঠায় আছে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম-এর প্রতিলিপি এবং ডাক্তারের
সার্টিফিকেটের প্রতিলিপি। একদম পেছনের পৃষ্ঠায় ছিল farthing
মুখোপাধ্যায়ের লেখা “বিজ্ঞাপন, যা সেকালের ভূমিকা, ATH, বক্তব্য,
বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি নানা কিছু প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হত। সেই বিজ্ঞাপনে
লেখা আছে, “এই গ্রন্থস্বত্ব রক্ষিত হইল, সংগ্রহকারের বিনা আনুমতিতে
অনুকরণ করিলে ১৮৭৪ সালের ২০ আইন মতে দণ্ডনীয় হইবেন।” মোট ৩৪
পৃষ্ঠার এই বইটি সে আমলে বেশ্যা বিষয়ক সামাজিক আলোচনার
উল্লেখযোগ্য দলিল। এই বইটাকে কেন্দ্র করেই সমাজের সমস্ত স্তরের
মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছিল। প্রচুর
কপি বিক্রি হয়েছিল যেহেতু এর আগে বাংলায় আইনের দিক থেকে এত
গুছিয়ে আর কোনও বেশ্যা বিষয়ক বই প্রকাশিত হয়নি। নানা পত্র-পত্রিকায়
১৪ আইনের পক্ষে বিপক্ষে যত আলোচনা বেরিয়েছিল সেগুলি সব এই
“বেশ্যা গাইড” অবলম্বন করে। সনাতনপন্থী এবং AMAA! সকলেই এই
বইয়ের ধারা-উপধারা ব্যবহার করে যুক্তি সাজিয়েছেন। বেশ্যারাও তাদের
দুর্গতির কথা জানাতে গিয়ে এই “বেশ্যা গাইড”-এর সরল বাংলায় লেখা
ধারাগুলোকে কখনও কখনও উল্লেখ করেছেন। উনিশ শতকের সামাজিক
ইতিহাস-চর্চার ক্ষেত্রে এই বইটির গুরুত্ব অপরিসীম। “বেশ্যা গাইড” কে কেন্দ্র করে সামাজিক এই আলোড়ন শুরু হলেও তার
আগে থেকেই নানাধরনের নাটক, প্রহসন, পাঁচালি-তে বেশ্যা বিষয়ক
সামাজিক ধ্যান-ধারণা ও চর্চার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। উনিশ শতকের
বেশ্যা বিষয়ক নানা সামাজিক তর্কগুলো “বেশ্যা গাইড” (১৮৬৮) প্রকাশিত
হওয়ার অনেক আগে থেকেই উত্থাপিত হচ্ছিল, চর্চিত হচ্ছিল, তর্ক-বিতর্ক
দেখা যাচ্ছিল। “বেশ্যা গাইড” সেই ঘটনারই ফলশ্রুতি, একথা আমরা আগেই
বলেছি। সেই “বেশ্যা গাইড” পূর্ন সময়পর্বে বাংলাদেশে নানাধরনের বেশ্যা
সম্পর্কিত নাটক, প্রহসন, পাঁচালি, নকশা, কবিগান রচিত হয়। এই সংকলনে
বাংলাদেশের সেই সামাজিক পরিস্থিতিতে রচিত একাধিক বেশ্যা বিষয়ক
রচনার মধ্যে থেকে একটিকে নির্বাচন করে আমরা ওই সময়ের সামাজিক, SATA