For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)অন্যান্য বৈচিত্র্যের মধ্যে আছে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর একটিমাত্র সুদীর্ঘ (তা-ও
খণ্ডিত) বাক্যের উদ্ধৃতি [২৬৯]; রাসবিহারী মণ্ডল এবং মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের
রচনায় [৪৭৪, ৪৭৬] ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সরল বাক্যের ছড়াছড়ি এবং দীড়ি ব্যতিরেকে অন্যান্য
যতিচিহ্ের প্রায় সমূহ বর্জন। THATS রায়ের বর্ণানুপ্রাসিক কাহিনীটি [২৩২] শব্দচাতুর্যে
পাঠককে কৌতুক জোগাবে। অসিতকুমার হালদারের রূপকথার সাবলীল ভায়ান্রোতে
বাহিত হতে হতে তিনি কি বুঝবেন, লেখাটায় একটিও যুক্তাক্ষর নেই? চলতি ভাষায় শ-খানেক নিদর্শনের সিকিভাগই ১৯২৫ সালের আগে প্রকাশিত।
উনবিংশ শতাব্দীতে চলিত ভাষায় লিখেছেন কালীপ্রসন্ন সিংহ, ভোলানাথ মুখোপাধ্যায়,
দীনবন্ধু মিত্র, apres বিদ্যাভ্₹ণ, ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী,
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর [৪০, ৫২, ৫৬, VO, ৬৯, ১৪৮, ১৫ ১]। বর্তমান শতাব্দীর প্রথম পাদে
প্রকাশিত চলিত” নমুনার রূপকারদের নাম: ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, রামেম্দ্রসুন্দর
ত্রিবেদী, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, FATS রাও, প্রমথ চৌধুরী, সরষূবালা দাসগুপ্তা, অনুরূপা
দেবী, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রকুমার বসু, সীতা দেবী,
নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গোকুলচন্দ্র নাগ, উপে্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার
রায়, বিভূতিভূষণ ভট্ট, সুভাষচন্দ্র বসু। যোগেন্দ্রচন্দ্র বসু এবং দেবেন্দ্রনাথ দাসের রচনায়
লক্ষিত হবে সাধু-চলিতের মিশ্রণ [১১৭. ২১৬]! কথাসাহিত্যে বিশুদ্ধ সাধুভাষায় রচিত সংলাপ বিংশ শতাব্দীতে বিরল [CACHAN
মুখোপাধ্যায় ১৯৮; শরৎকুমার রায় ২২৮]। উনিশ শতকের উপাস্ত্য দশক থেকে
কথোপথনে মিশ্র ভাষাব ব্যবহার দেখা যায়: সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর
চট্টোপাধ্যায়, হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎকুমারী চৌধুরানী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর,
দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার, যতীন্দ্রমোহন সিংহ... [৯৭, ১০৫, ১১৮, ১৩৯, ১৯৭ ২০৭,
২১৩]। সাধু ভাষায় রচিত গল্পোপন্যাসে বিশুদ্ধ চলিত কথাবার্তার প্রথম নিদর্শন এই
পুস্তকে পাওয়া যায় উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে: যোগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় [১৩৬];
তারপর আছেন সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, যোগীন্দ্রনাথ সরকার, মাধুরীলতা দেবী, সুবোধচন্দ্র
মজুমদার, দুর্গাদাস লাহিড়ী... [১৯৩, ২০১, ২১৫, ২২৭, ২৩১]। সাধু কাঠামোয় চলিত SHCA সেরা দৃষ্টান্ত যীদের রচনায় পাওয়া যেতে পারত, তাদের অনেকেরই সংলাপহীন গদ্যাংশ এই সঙ্কলনের অনস্তর্ভূত [শরৎচম্দ্র, বিভূতিভূষণ, মানিক, রাজশেখর বসু... ]। অনেক লেখকের শ্রেষ্ঠ গদ্যের AAI আমাদের ক্ষেত্রে কমবেশি আড়াই শো
শব্দের সুখপাঠ্য উদ্ধৃতি-_ তাদের wy পুস্তকে পাওয়া যায় না: একাধিক কথা-সাহিত্যিক
পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসে নয়, SIA ছোট গল্পেই স্বভাবত অধিকতর গদ্য সচেতন ব'লে
সতীনাথ ভাদুড়ী প্রভৃতি ওপন্যাসিকের অপেক্ষাকৃত-অপরিচিত গল্পাংশই উদ্ধারযোগ্য
বিবেচিত হল।