পড়শি বসত করে | Parshi Basat Kare

১৬ পড়শি বসত করে বাসিন্দা, প্রতিবেশী বাড়িওয়ালা ft পাম্প চালাতে গড়িমসি করে ওপরের চার ফ্ল্যাটকে গরমের সময় খুব ভোগান। জল TH করে, পাম্প না চালিয়ে অতিষ্ঠ করে ওদের যদি তুলে দেওয়া AA | কে ওঠে! কলকাতা থেকেই তাহলে যে উঠে যেতে হবে। এতকাল কলকাতার হাওয়া জল রোদ, ধুলো ময়লা, শীত কুয়াশা গায়ে মেখে সিজন্ড হয়ে এখন কি ফেরা যায় কদমগাছি বামুনগাছি জগৎপুর কাশীনাথপুর-এ? কেউ কোনোদিন গিয়েছে পৃথিবীর ইতিহাস-এ। নগর কখনো গ্রাম হয়েছে? MAS তো বদলে গেছে নগরে। মানুষ কি কৃষিকাজ ছেড়ে শিল্পের শ্রমিক হয়ে আবার ফিরতে পারে কৃষিকাজ-এ? চারদিক তো দিনরাত্রি সরগরম হয়ে আছে কৃষি না শিল্প, শিল্পই আমাদের ভবিষ্যৎ, নগরায়ন-ই শিল্পের আর এক মুখ, নগর গড়, নগর PANS | এই ক'দিন আগে নামী এক লেখক লিখলেন রবীন্দ্রনাথের ব্যর্থ আর্তির কথা দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর--ফিরে কি পেলেন রবীন্দ্রনাথ তার অরণ্য? সভ্যতা কি পিছনে ফেরে? এত সবের ভিতরে নিঃশব্দে, গোপনে বিজনকুমার বসু মশায় তার মধ্যবয়সে গ্রামে ফেরার সব আয়োজন করে ফেলেছেন। তা ছাড়া তার উপায় কী? কলকাতা আর তার আশপাশে জমি হল সোনা। জমি আর থাকছে না। এরপর ঝুড়ি করে কলকাতার মাটি বেচা Acq! তা কিনতেও আগরওয়াল মুরুটিয়া, নেওটিয়ারা ছুটে GATT | কলকাতা থেকে রাস্তা যেদিকে যাক, সেই রাস্তার দু'খারের জমি ও সব বেচাকেনা প্রায় শেষে। যদি কিছু পড়ে থাকে তো তার ব্যবস্থাও হয়ে যাচ্ছে। যখন আছে নিয়ে নিন, হয় নগর হোক। যে .ভাবে হয় হোক। জমিজমার শেষ বন্দোবস্তের যুগ এখন। এরপর আর এ জগতের কোথাও কোনো ক্রয়যোগ্য বিক্রয় যোগ্য জমি থাকবে না। আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। এসবের ভিতরে বিজন পাঁচ কাঠা কিনে ধূলিহর-এর পত্তন ঘটাল জগৎপুরে। সেই ধুলিহর-এ গৌড়েশ্বরকে পেল। লোকটা এসে বলল, আমি আছি যখন, কোনো ভয় নেই দাদা, বাড়ি আপনার ভালো থাকবে, বাড়ি আপনার থেকে যাবে, নির্ভয়ে যান বউদি। তিনদিন তিনরাত্রি কাটিয়ে ফেরার সময় গৌড়েশ্বর বলেছিল, যখন মনে হয় আসবেন, এলে আমাদের ভাল লাগবে। কিচেনে তালা, টয়লেটে তালা, পিছনের খিড়কি দুয়ারের গ্রিলে তালা, দুটি ঘরে তালা, সদর দরজায় তালা, তারপর গ্রিল গেটে তালা দিয়ে চাবির গোছা যখন কবিতা তার ব্যাগে ভরেছিল গৌড়েশ্বর বলেছিল, থাকল কী যে এত তালা লাগালেন বউদি? কেন খাট থাকল, আলনা থাকল, চেয়ার থাকল। থাকল থাকল, আমরা কি নেই? লোকটা গোলগাল। বেশ মিশমিশে কালো। মাথার চুল সব ঝরিয়ে