নীললোহিত-সমগ্র [খণ্ড-৪] | Nillohit-samagrah [Vol. 4]

৬ নীললোহিত-সমগ ৪ ভালো মন্দ খেয়ে ভবসিন্কুর এখন স্বাস্থ্য আবার ফিরেছে। তাদের স্বাসী-স্ত্রীকে এখন বেশ সুখী সুখী দেখায়। যাবার আগে রেখা আমার বউদির কাছে একটা বিনীত আবেদন জানাল। যদি তাদের দুশো টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়, তা হলে তাদের মহা উপকার হবে। তারা স্বামী-স্্রীতে এই কদিনে দেড়শো টাকা জমিয়েছে, তাদের একটা তিন বিঘের ধান জনি বন্ধক দেওয়া আছে তিনশো টাকায় সেই জমিটা এখন ছাড়াতে না পারলে একেবারেই গোল্লায় ATI এ দুশো টাকা তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাইনে থেকে মাসে মাসে কেটে নেওয়া হবে। রেখা আমার বউদির পায়ে হাত দিয়ে সজল নয়নে বলল, বউদি, আমাদের এই উপকারটা করুন। আমরা সারা জীবন আপনার পা-ধোওয়া জল খাব! আমার বউদি একটু দয়ালু প্রকৃতির, অল্প কথায় রাজি হয়ে গেলেন। তবু একটা সন্দেহ মনে উঁকি দিতে লাগল, ওরা যদি আর না ফেরে? রেখা আমার মায়ের পা ছুয়ে বলল, আমি ভগমানের নামে দিব্যি করে বলছি মা, ঠিক চারদিনের মাথায় ফিরে আসব। ভোরের ট্রেনে এসে রোববার সকালে আপনাদের আমিই চা বানিয়ে দেব। সেই রবিবার পেরিয়ে আর একটা রবিবার ঘুরে এল, কিন্তু রেখা আর ভবসিন্ধু ফিরে এল না। বউদি মনে একটা দারুণ আঘাত পেলেন! দুঃখ থেকে BCA উঠল রাগ। বউদি বললেন, পুলিস দিয়ে ওদের আমি ঠিক ধরে আনাবো। ওদের জেল খাটাবো! শুধু দুশো টাকার জন্যই নয়, ওরা যে বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, এটাই বউদির AMS লেগেছে | তা হলে কি কোনো মানুষকে আর বিশ্বাস করাই যাবে না? বউদি রাগে একেবারে গনগন করছেন। একটা কিছু ব্যবস্থা নিতেই হয়। আমার দাদা উদাসীন প্রকৃতির মানুষ। বাড়ির ঝি-চাকরদের ব্যাপার নিয়ে কোনো দিন মাথা Wal না। সব শুনেটুনেও তিনি বই থেকে চোখ না তুলে বা হাতের ঝাকুনি দিতে দিতে বললেন, ওসব আমি জানি না, ওসব আমি জানি না। BAS আমারই ওপর তদন্তের ভার পড়ল। ভবসিন্ধুদের গ্রামের ALI! শুধু জানা, CAB কোথায়, তা কেউ জানে না। বোধ হয় ক্যানিং-এর কাছ।কাছি Hate | আমি চতুর্দিকে টে-টো করে ঘুরে বেড়াই, আমার পক্ষে একটা গ্রাম খুজে বার করা এমন কিছুই শক্ত নয়। একদিন সকালে ক্যানিং-এর ট্রেনে চড়ে বসলান। ট্রেনের জানলার ধারে বসে আমি ভাবতে লাগলাম, ওদের না৷ ফেরার কারণটা কি হতে পারে? রেখা আর ভবসিদ্ধু দু'জনেই বেশ He, কোনোদিন চুরিচামারি করেনি। সামান্য দু'শো টাকার লোভ তারা সামলাতে পারল না? ভবসিন্ধু না হয়