ভারতের মুসলিম স্থাপত্য | Bharater Muslim Sthapatya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
যথা- দামেস্ক, সামাররা ও বাগদাদে নির্মিত কীর্তির অনুরূপ আদর্শের স্থাপত্য সৌধ ভারতে নির্মিত হয়েছে বলে মনে করা হয়ে থাকে । অথচ এ দু চরম মনোভাবপূর্ণ সমালোচনা বাস্তবের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং এ জাতীয় পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা বিভ্রান্তিজনক। অবশ্য এ দু মতবাদকে অবলম্বন করে অনেক যুক্তির অবতারণা করা যেতে পারে। মূলত: ভারতে স্থাপত্য ক্রমবিকাশের চলমান ধারা হিন্দু যুগে যার সূত্রপাত হয়েছিল তা কখনই থেমে যায় নি। তবে এটি ধীরে ধীরে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এর আকার ও বৈশিষ্ট্যগত আদর্শের পরিবর্তন এসেছিল। এ পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন আয়োজনে দিনে দিনে বিকশিত হয়ে ওঠে “a ফলে স্থাপত্য নির্মাণ পদ্ধতি ও পরিচর্যায় যে নতুন ধারার আবির্ভাব ঘটেছিল ত নতুন ধরনের স্থাপত্য ইমারত ভাবতের বুকে প্রথমবারের মতো সৃষ্টির সুযোগ কবে দিয়েছিল | ভারতের স্থাপত্যশিল্প সময় ও এতিহাসিক বিবর্তনের ধারার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সমৃদ্ধিলাভ করেছিল | তবে মুসলমানদের ভারতে আগমনের প্রায় সাথে সাথে পূর্বের হিন্দু পদ্ধতির স্থাপত্য অনুশীলন একেবারে থেমে না গেলেও কোনো শ্রীবৃদ্ধি সাধিত হয় নি। এটি স্মরণ করা যেতে পারে যে ভারতের বাইরে এশিয়ার অন্যান্য দেশে বা আফ্রিকা ও ইউবোপে ইসলামি স্থাপত্য আন্দোলনের ধারা তেমন প্রাধান্য বিস্তাবে সমর্থ না হলেও ভারতের বুকে এটি সম্ভবপর হয়েছিল 1 কেননা বিশ্ব বিজয়ের মাধ্যমে বহুজাতির আদর্শের সাথে যখন মুসলমানদের পরিচয় ঘটেছিল তখন তাদেরকে বিজিত জাতিগুলোর আদর্শ হতে অনেক কিছু গ্রহণ করতে হয়েছিল 1 উল্লেখ্য যে, মরুভূমির তাবুতে বসবাসকারী আরবদের অন্যকে দেওয়ার মতো স্থাপত্য জ্ঞান ছিল না। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল কিছুটা দি | এখানকার সংস্কৃতি, আচার ও ধর্মের মতো এত বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সংঘাতময় অবস্থাব সাথে কখনই মুসলমানদের ইতঃপূর্বে সংযোগ ঘটে fA বস্তুতঃ খ্রিস্টপূর্ব ved শতাব্দী থেকে ভারতে জৈন ও বৌদ্ধ মন্দির, বিহার ও আশ্রম নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারতের বুকে স্থাপত্যের পদযাত্রা শুরু হয়েছিল 1 মন্দির নির্মাণে সুষম প্রস্তর খণ্ড ও অসম প্রস্তর খণ্ড, চেপ্টা আকারের ইট, পোড়ামাটির ফলক ও গুটিকা ব্যবহৃত হয়েছে যা মৌর্য স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবদান | অবশ্য পরবর্তীকালে মুসলিম শাসকদের স্থাপত্য উপকরণেও এ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় | বলা বাহুল্য প্রস্তর নির্মিত কাষ্ঠ স্থাপত্য অনুসারী Bt, ইমারত, ভাস্কর্য ও উত্থিত অলঙ্করণ অথবা আয়তাকার মিলনায়তন ও এর পশ্চাতে অর্ধবলয় প্রকোষ্ঠ বৌদ্ধ-বিহাব, যার চতুর্দিক প্রসাবিত প্রদক্ষিণ পথ কেন্দ্রীয় ভজনালয়টিকে অস্পৃশ্যতার হাত হতে মুসলিম আমলের প্রসারিত মসজিদের বিপরীত আদর্শ সংবলিত ভজনালয় সৃষ্টি হয়েছিল তা মুসলিম আদর্শের সর্বজনীনতাকে মালিন্য দান করতে পারে নি। ফলে এর কোনো প্রভাব দৃশ্যত মুসলিম স্থাপত্যের পথ নির্দেশে সহায়ক হতে পারে নি। মুসলিম পূর্বযুগে হিন্দু স্থাপত্যের পরবর্তা স্তরেও গুপ্তদের আমলে ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রচণ্ড আচার-নিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা ও ধর্মীয় স্বেচ্ছাচারের প্রাবল্যে মন্দির স্থাপত্য যে রূপ পরিগ্রহ করেছিল তাতেও অঙ্গ-সৌষ্ঠব রচনায় SS স্থাপত্যরীতির কলাকৌশল দ্বারা প্রভাবিত বৌদ্ধ আদুর্শ নিষিক্ত করে হিন্দু মন্দিরগুলো যেভাবে রূপায়িত হয়েছিল তা কড়ি বা তীরের বাহন করার জন্য আলম্বযুক্ত (brackets) ABA BS, স্ফীত উৎকীর্ণ নকশা যুগল, সমতল ছাদ, ত্রমপ্রলম্বন পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা দালানকোণায় YB হয়েছে। ৪



Leave a Comment