For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)he tee কল্যাণ কর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “লেট কালচার পেরিস বাট জাসটিস
ট্রায়াম্ফ্ ” কিন্তু রবীন্দ্রনাথের শিল্প সম্পর্কে কেন্দ্রীয় বক্তব্য হল, শিল্প মানুষের বিশুদ্ধ আনন্দ।
প্রয়োজন-রহিত নন্দনতাত্ত্রিক সৌন্দর্যসৃষ্টি শিল্পের বিশুদ্ধির পরিচয় বহন করে। তার মতে, শিল্প
অপ্রয়োজনের আনন্দ এবং তা মুখ্যভাবে শিল্পীর আত্মোপলন্ধির আনন্দ। অবশ্য কালিদাসের
সৌন্দর্য-উপাসনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলের উপাসনার আদর্শকেও রবীন্দ্রনাথ শ্রেষ্ঠ শিল্পার্শ বলে
মনে করেছেন। সত্য ও অহিংসার পথে টল্্স্টয় তার মহামানবসেবার আদর্শের জন্যে বিশ্ববন্দিত1
রবীন্দ্রনাথের কাছে মহামানবসেবার অর্থের বিশেষত্ব আছে। তার ধারণা ছিল, প্রত্যেক ব্যক্তিমানব
এক একটি জীবন-কমল। বহু যুগ ও জন্মান্তরের মধ্য দিয়ে জীবন-কমল বিকশিত হয়ে উঠছে।
অনন্ত জীবন-কমল বিকাশলাভ করতে চাইছে এক পরমপুরুষের “মানস-সরোবরে”। প্রত্যেক
ব্যক্তিমানবের জীবন-বিবর্তন নিয়ে বিকশিত হয়ে উঠেছে বিশ্বজীবন- সৃষ্ট হচ্ছে মহামানবের
ইতিহাস। একেই রবীন্দ্রনাথ বলেছেন “SAP অখণ্ড মানবতার বিকাশই হল ব্রহ্ম-কমলের
বিকাশ। এই বিকাশকে যতদূর সম্ভব অগ্রসর করে দেবার চেষ্টাই হল মহামানবের CHAT | বিকাশেই
মানুষের মুক্তি। শাশ্বত মানুষ'কে পরিপূর্ণ বিকাশের দিকে অগ্রসর করে দেবার যে শিল্পজনোচিত
ভাবানুভূতি তা-ই তাকে মানবতার মহাসাধক টল্স্টয়ের কাছে পৌছে দিয়েছে। জনৈক ফরাসী সমালোচক রবীন্দ্রনাথকে “হিন্দু টল্স্টয়' বলে অভিহিত করেছিলেন। তার
সেই উক্তি সর্বতোভাবে অবিবেচনাপ্রসূত বলে অস্বীকার করা চলে না। নানাদিক থেকে
জীবনাচরণে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বিশ্বমানবসমাজের কল্যাণে Mares বিবেকের অগ্নিদহনে দগ্ধ
হতে হতে টল্স্টয় ও রবীন্দ্রনাথ এর ভাগ্যনিয়ন্তার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন স্বেচ্ছাবৃত
বেদনা ও দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়ে।