সুবোধ ঘোষ রচনা সমগ্র ৭ | Subodh Ghosh Rachana Samagra 7

ছেলে খুব ফর্সা, যদিও একটু বেশি ছিপছিপে। ছেলের নাকটি কিন্তু বাশির মতন, বেড়ে নাক। জ্যোৎন্না--ছেলের আপন বলতে কে কে আছে? ঘর-বাড়ির অবস্থা কেমন? -__ঠিক আপন বলতে কেউ নেই। তিন শরিকের খুড়ো-জেঠারা আছেন। নিজের ঘর-বাড়ি নেই বটে; তাই বলে অবস্থাটা তোমার সীতারামপুরী সংসারের অবস্থা নয়। জমি আছে ছেলের, ভাগচাষে যা পাওয়া যায়, তাতে একটি ছোট সংসারের ভাত- কাপড়ের কোনও অভাব হতে পারে না। মোট কথা, মোটা ভাত-কাপড়ে রানুর জীবনটা একরকম ভালই থাকবে। CHAISE GT অস্তত সাত আট মাস দেরি করলে ভাল হত না কি? মেয়েটা ম্যাট্রিক পাশ করে নিত, তারপর এর চেয়ে আর একটু ভাল অবস্থার ছেলের সঙ্গে, না হয় এই হরিশ্চন্দ্রের ACHE... | AS নাম হরিশ্চন্দ্র নয়। BNA Az! জ্যোৎস্না--বেশ তো, না হয় এই কান্তিনাথ বসুরই সঙ্গে রানুর বিয়ে হবে। কিন্তু MPH পাশ করুক ATI —al, আর দেরী করা চলে না। CONIA বলবে, খরচের ভয়ে মেয়েটার পড়া বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে নরেশ সেন। -__তা তো বলবেই। জ্যোৎস্না-_কিন্তু বিয়ে দিতেও তো খরচ আছে? - কোনও খরচ নেই। ছেলের দিক থেকে কোনও দাবি-দাওয়া নেই। জ্যোৎস্না-_ছেলে কি রানুকে দেখেছে? -_-হ্্যা, নন্দ কাকা একদিন কাস্তিকে সঙ্গে নিয়ে বাজার যাবার পথে রানুকে দেখিয়ে দিয়ে বলেছে, ওই, ওটি হল আমাদের মহারানী। জ্যোৎসশ্না--তাতে হল কী? ONS এই ফল হল যে, নন্দ কাকার কাছে একেবারে মুখ খুলে অনুরোধ করে ফেলেছে কাস্তি, আপনার এই মহারানীর সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন। আর, নন্দ কাকাও বলছেন, AM তোমাদের কোনও আপত্তি না থাকে নরু, তবে ওই কান্তির সঙ্গে মহারানীর বিয়েটা ঘটিয়ে দাও | নরেশ সেনের এই খুব বেশি ও বাচাল উৎসাহে সায় দিয়ে ঘরের মেটে পিদিমের মৃদু শিখাও যেন ছটফট করে আর জ্বপজ্বলিয়ে কেঁপে উঠল। আর, তারপর আর মাত্র সাতদিনের মধ্যেই বিয়ে হয়ে গেল। কাস্তিনাথের (দেশ থেকে মাত্র দু'জন মানুষ সীতারামপুরে এসেছে, একজন পুরোহিত, আর দক্ষিণ শরিকের বড় কাকা, শ্রী নটেশ্বর বসু। নন্দ কাকা একটা গ্যাস- বাতি পাঠিয়ে দিলেন, সেই বাতির আলোতে আঙিনার আলপনাতে আঁকা পদ্মকলি ১৬