For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১৮ নারী নির্যাতন নারী আন্দোলন নকল শব্ধ ব্যবহার করেছেন তা অবৈজ্ঞানিক হলেও সুবিন্যস্ত এবং তথ্যবহুল। প্রসারিত
অবস্থায় যোনিকে পূর্ণপ্রস্ফুটিত গোলাপের পাপড়ির মতো মনে হয়। যোনিকে একটি স্পর্শকাতর
যৌনাঙ্গ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। অবশ্য ভগাঙ্কুর সম্পর্কে কলিঙ্গের ধারণা যথার্থ ছিল।
রতিক্রিয়ায় পরমানন্দদানে ভগাঙ্কুরের ভূমিকার কথা তিনি নিশ্চিত জানতেন। অথচ, এই
চরম স্পর্শকাতর ক্ষুদ্র প্রত্যঙ্গটি নিয়ে রচিত হয়েছে কতোই না রহস্য। সৃষ্টি হয়েছে নানান
ট্যাবু। প্রাচীন মিশরীয়রা ভগাঙ্কুরকে অমাঙ্গলিক বিবেচনা করত। প্রসবকালে সম্ভানের মাথার
সঙ্গে এর ঘর্ষণ হলে সম্তানের অমঙ্গল হবে বিবেচনায় প্রাকৃবিবাহকালেই মেয়েদের ভগাঙ্কুর
কেটে ফেলত | বর্তমান মিশরে এই চরম অমানবিক প্রথা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ হলেও অনেক
ATS অঞ্চলে এর প্রচলন আছে। শুধু প্রাচীন বা প্রাচীনপন্থীরাই নয়, আধুনিক মনোবিজ্ঞানী
PAGS ভগাঙ্কুরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন নারীবাদী দৃষ্টিতে পাঁড় প্রতিক্রিয়াশীল এই
মনোবিজ্ঞানী ভগাঙ্কুরকে বিকৃতলিঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। শুধু তাই নয়, নারী-পুরুষ যৌন-
সস্কার নিয়ে FACS ধারণা : দৃশ্যত কদাকার, UWA ও গুপ্ত জননেদ্দ্রিয় নিয়ে মেয়েরা
মারাত্মক হীনমন্যতায় ভোগে এবং পুরুষেরা AAT, সুদৃশ্য, প্রকাশ্য ও উত্থিত লিঙ্গকে ঈর্ষা
করে। একে তিনি বলেছেন পেনিস-এনভি অর্থাৎ লিঙ্গ-ঈর্ষা বা শিশ্মীসুয়া। সুস্থ, স্বাভাবিক
জননেন্্রিয় নিয়ে মেয়েদের দুশ্চিভ্তায় ঈর্ষাকাতর হওয়ার যে মনস্তান্তিক ব্যাখ্যা ফ্রয়েড দিয়েছেন,
তা বস্তুত লিঙ্গগবী এক দাস্তিক পুরুষের স্বরকপোলকল্পনা। GAN wis অধিকারীর কাছে
কতটুকু আকর্ষণীয় তার চেয়ে বহুগুণ বড় কথা হলো বিপরীত লিঙ্গের জাতকের কাছে তা
কতটুকু আবেদন সৃষ্টি করতে পারে। অধিকন্তু স্বীয় জননেন্দ্রিয়ের আকৃতি ও প্রকৃতি নিয়ে
পুরুষদের মনোবেদনাও কম নয়। অতএব, নারী-পুরুষের যৌনাঙ্গসমূহের কথিত উৎকৃষ্টতা
নিকৃষ্টতা নিয়ে প্রকৃতিকে পক্ষপাতদোষে দুষ্ট সাব্যস্ত করা মূর্খতা, কারণ প্রকৃতিগতভাবেই
যৌনাঙ্গবিশেষের স্বতন্ত্র গুরুত্ব আছে। কাজেই ফ্রয়েডীয় শিশ্মাসূয়ার ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক বিবেচনায়
বাতিলযোগ্য। এভাবে আদিকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত নারী-যৌনাঙ্গ নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য
গল্প-কাহিনী ও SG, যার অধিকাংশই রহস্যাবৃত, অবৈজ্ঞানিক ও মনগড়া। এদিকে মানবজাতি
বলতে মূলত পুরুষকে বোঝানো হয়েছে এবং নারীকে পুরুষ নারীর নিজের মতো করে ব্যাখ্যা
না করে পুরুষনির্ভর করে ব্যাখ্যা করতে সততই তৎপর থেকেছে। নারী কোনো স্বয়ংক্রিয় সত্তা
নয়, বরং পুরুষনির্ভর সাপেক্ষ সত্তা, এই বিশ্বাস পুরুষতঙ্ত্রের মজ্জাগত। মিশেল লিখেছেন :
সাপেক্ষ সত্তা, নারী (woman, the relative being...) এবং বেন্দা তার Repport d’
Uriel-9 বেশ জোরের সঙ্গে বলেছেন : পুরুষের শরীর নারীর শরীরের সাহায্য ছাড়া আপনা
থেকেই অর্থপূর্ণ, পক্ষান্তরে নারীশরীর নিজ থেকে গুরুত্বহীন। ...নারী ছাড়াই নিজেকে ভাবতে
পারে পুরুষ, কিন্তু পুরুষ ছাড়া নারী নিজেকে ভাবতে পারে না। নারী হল : যা পুরুষ রায়
দেয়, এভাবে নারী হয় FE (sex); অর্থাৎ পুরুষের কাছে নারী অপরিহার্যত একটি. লৈঙ্গিক
সত্তা, সম্পূর্ণ লিঙ্গ, তার কম কিছু নয়। পুরুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত নারী এক পরসত্তা,
যা সংজ্ঞায়িত, ব্যাখ্যাত, আলোচিত, পৃথকীকৃত হয় পুরুযোত্তমকে কেন্দ্র করেই, নিজেকে নয়।
নারী হয় আনুষঙ্গিক, অনপরিহার্য; অপরিহার্যের (পুরুষ) বিপরীতে পুরুষ হয় পরম কর্তা,