চর্যাগীতি পরিচয় [সংস্করণ-১] | Charyagiti Parichaya [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১॥ রচনা ও রচয়িত। ॥ ১৯০৭ খৃষ্টাৰে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা ঘাটিতে ঘাটিতে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের যে পুথিখানি আবিষ্কার করেন এবং ৯ বৎসর পর অন্য তিনখানি পুথির সহিত “হাজার বছরের পুরান বাঙলা! ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে যাহা প্রকাশ করেন তাহা যে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে কতখানি FT সেকথা তখনই সকলে অনুধাবন করিতে পারেন নাই । "বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে একটি খণ্ডিত ধারণা পোষণের হাত হইতে বাঁচাইয়া তিনি যে শুধুমাত্র বাঙালীর অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাজন হইগ়াছেন তাহা নহে--আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষাগুলির মধ্যে প্রাচীনতম সাহিত্যিক নিদর্শনের সন্ধান fin তিনি বাঙ্গালীকে বিপুল গৌরবের অধিকারীও করিয়াছেন | সেদিন যেমন বাঙ্গালী তাহার আবিষ্কারের মূল্য অন্ধাবন করিতে পারে নাই তেমনি পারে নাই তাঁহার আবিষ্কারের বিষয়বস্তু অনুধাবন করিতে । আজও যে সকলে পারিয়াছেন তাহা নহে । তবে ক্রমেই স্থবীজনের দৃষ্টি এদিকে পড়িতেছে এবং শাস্ত্রী মহাশয় প্রাথমিক বিচারে ইহার সম্পর্কে যে সকল সিদ্ধান্ত করিয়াছিলেন-__তাহাকে একেবারে উণ্টাইয়া না দিলেও ইহার সহিত অনেক নূতন নূতন তথ্য সংযোজিত হইতেছে |



Leave a Comment