For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভূমিকা পারে, মতবাদ মানুষকে বদলাতে পারে না। মানুষ যাতে নিজেকে
বদলাতে পারে তার BAT স্থষ্টিই সমাজ বা রাষ্ট্রের কাজ হওয়া
উচিত i একই মতবাদের পরস্পর বিপরীত প্রয়োগ কেন হয় এটি
অনুধাবন করতে WIT! এর কারণ এই নয় যে, একজন মতবাদ
সঠিক বুঝেছে ও প্রয়োগ করেছে এবং আরেকজন বোঝেনি। এর
কারণ, প্রত্যেক মাননষই পৃথক । আমরা গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বলি
বটে, জনসাধারণই রাঙ্্রশক্তির আধার ৷ কিন্তু বাস্তবে দেখি, রাষ্ট্রশক্তি
জনসাধারণের. আয়ত্তের বাইরে ; রাজধানীতে, সেক্রেটারিয়েটে,
রাজনৈতিক দলের ওয়াকিং কমিটি বা পলিটব্যুরোতেই ক্ষমতা
ge “শক্তি” বা “ক্ষমতা” কারো দয়ার দান হিসাবে আসে না,
অর্জন করতে হয়, রক্ষা করতে BH আশ্চর্য এই যে দলগত
রাজনীতিতে ব্যক্তির ভূমিকাকে স্বেচ্ছায় ছোট করতে বল হয়।
ব্যক্তি ক্ষমতার উৎস, ব্যক্তিকে সেই ক্ষমতা পার্টি বা পার্টি পরিচালিত
সরকারের হাতে হস্তানম্তর করতে বলা হয়, ব্যক্তির বিচারবিবেককে
পার্টির বা কোনো সংস্থার বিচারের সংগে মিলিয়ে দিতে বলা
হয়। “মামাকে রক্ত দাও, আমি তোমাকে মুক্তি দেবে” এটি
সব পার্টি নেতৃত্বেই কথা । “ভোট দাও, ট্যাক্স দাও, আনুগত্য দাও,
আমি তোমাকে ভাতরুটি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দেবে” এটি সব ক্ষমতাসীন
রাষ্ট্রকর্তাদের কথা । সব ক্ষমতা ব্যালট বাক্সের মধ্য দিয়ে হস্তাস্তরিত
হবার পর সর্বশক্তিমান রাষ্ট্রের বা সরকারের কাছে আমাদের একমাত্র
প্রার্থনা দেহি, দেহি, দেহি) যেন “রূপং দেহি, জয়ং দেহি, যশো
দেহি দ্বিষো! জহি” মন্ত্রেরই রূপায়ণ; চাকরি দাও, খাদ্য দাও, পদোন্নতি
দাও, আক্রমণ থেকে বাচাও ৷ এর মধ্যে কোথাও আত্মনির্ভরশীলতার
কথা নেই । রাষ্ট্রনির্ভরণীলতা যে পরনির্ভরশীলতাই তা আমরা! মনে
রাখি না বলেই নিজেরা কোনে সমস্ত! সমাধানে উদ্বোগ গ্রহণ
করতে পারি না। আমরা পুলিশ ডাকি, মন্ত্রী ডাকি, গভর্ণমেণ্টের
₹ত্তক্ষেপ চাই। বাইরের কেউ বা কোনো সংস্থা এসে সাহায্য না 9