নির্বাক যুগের ছায়ালোকের কথা | Nirbak Yuger Chayaloker Katha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১০ কোলহাপুরের মহারাজা বাহালবা পেন্ডারকারকে ভার দিয়ে একটি স্টুডিয়ো খোলান। এই স্টুডিয়োর নাম “কোলহাপুর সিনেটোন'। বাহালবা পেন্ডারকার একজন সাহিত্যিক এবং অত্যন্ত তেজস্বী ও জেদি লোক। ইনি মহাত্মা গান্ধীর অত্যন্ত ভক্ত ও শিষ্য ছিলেন। এমন লোকের সঙ্গে রাজারাজড়া তো দূরের কথা, তখনকার দিনের সিনেমামালিকদের বনিবনা হওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে কিছুদিন যেতে-না-যেতেই তাঁকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হল। আমি যখন কোলহাপুর সিনেটোনে কাজ নিয়ে যাই, তখন ওখানকার ম্যানেজার ছিলেন বাবুরাও পেন্ডারকার। বাবুরাও পেন্ডারকারের নাম সিনেমাজগতে অপরিচিত নয়। তার মতো চরিত্র-অভিনেতা ভারতীয় সিনেমাজগতে খুব কম আছে বললেই চলে। কয়েক বছর থেকেই তাকে আর কোনো চিত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে চিত্রজগৎ থেকে তিনি বিদায় নিয়েছেন। এই বাবুধীও পেন্ডারকারই আমাকে বোম্বাই থেকে কোলহাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন আমি যখন কোলহাপুরে যাই, তখন সেখানে ছিল দুটো স্টুডিয়ো। দটোই খুব বড়ো স্টুডিয়ো। জিনিসপত্র কিছুরই অভাব নেই Te ES চলে। একটি হচ্ছে মহারাজার নিজস্ব, অপরটির নাম শালিনী সিনেটোন। এর মালিক ছিলেন শ্রীযুক্ত আক্কা সাহেব মহারাজ, ইনি কোলহাপুর মহারাজের জ্যেষ্ঠ ভগিনী এবং দেওয়ান-এর (ACT) মহারানি। আক্কা সাহেব তার পৌত্রীর নাম দিয়ে এই স্টুডিয়ো করেছিলেন।



Leave a Comment