অনিন্দিতা | Anindita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ অনিন্দিতা আরে তৃষা দেবী যে,আসুন আসুন, তা বাড়ী যাননি যে এখনও | চলে যাব ভেবেছিলাম। তারপর ভাবলাম মেয়ের খবরটা আপনাকে না দিয়ে যাওয়াটা অভদ্রতা, তাই ফিরে এলাম! সরি!আমারইতো উচিৎ ছিল খবরটা নেওয়ার, বিশ্বাস করুন এত ব্যস্ত “হলাম, তাছাড়া আপনিও এমনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন দেখে আর জিজ্ঞাসা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি | ও তাই, তাহলে আমাকে ধরে নিতে হয় সামান্য সৌজন্য বোধটাও আপনার নেই। আপনি ভাবতেই পারেন। এবার বলুন তৃণা কেমন আছে? ভাল আছে বলেই তো স্কুল আসছি। খুব রেগে গেছেন তাই না? সাজে না! কেন একথা বললেন! নাইবা জানলেন। বেশ জানব না। আর কি খবর বলুন, কোন problem | সরি, তেমন কিছু নেই। আমি এবার চলি। আসুন। তৃণা বড় হচ্ছে ধীরে ধীরে | তার বয়স এখন পাঁচ সাড়ে পাঁচ । দিন দিন যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে তৃণা। সে যেন আরও বেশী বেশী abnormal হয়ে WER! মনে সুখ নেই তৃষার। কাজের মেয়েটা যেন ভীষণ ভালবেসে ফেলেছে PUCH | এইটুকুই তৃষার সুখ। চাকরীটাও হয়ে গেল চার বৎসর | রাস্তাঘাটে, বাসে সবাই যেন লোলুপতা নিয়ে তৃষাকে দেখে। কেউ কেউ পরিচয় করার জন্য চেষ্টা করে। সুযোগ পায় না কেউ, কিন্তু NC সবাই। পীঁচখুরি থেকে শোভনবাবু আসেন তিনি কেশপুর স্কুলের শিক্ষক, কথায় কথায় পরিচয় পর্ব সেরে দুম করে একদিন প্রস্তাব দিয়ে বসেন, এভাবে আর কতদিন কাটাবেন। অতীতকে ভুলে ভবিষ্যতের ACH: বর্তমানকে আঁকড়ে ধরা এ যুগে সবচেয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। কি বলতে চাইছেন বলুন তো? কেন! কথাটাকি খুব জটিল হয়ে গেল, তাহলে সহজ করে বলি। অতীতের স্মৃতি ব্দেনার, সেই বেদনাকে গলার মালা করে কি লাভ, তার থেকে আসুন না জীবনটাকে নতুন করে শুরু করি। সে যেন আর এক ঝড়, তৃষা কি করবে, কিভাবে সামলাবে এইসব AGTH | কেন সে তাড়াতাড়ী বুড়ী হয়ে যাচ্ছে না, কেন সে কাউকে বোঝাতে পারছে না, অথবা কেউ বুঝতে চাইছেনা বাস্তব এত সোজা AA | SI চেষ্টা করে বোঝানোর।



Leave a Comment