প্রবন্ধ-সংকলন | Prabandha-sangkalan

১৬ প্রবন্ধ সংকলন চরম লক্ষণ বলে মেনে নিয়েছিলাম । পাথিব সখের প্রতি বীতস্পৃহা ভারতীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য বলে পরিগণিত হয়ে এসেছে। কয়েক শতাব্ীর প্রশ্রয়ে এই faatafe আমাদ্বের স্বভাবগত হয়ে দীড়িয়েছিল। সত্যতা বরাবর এক রাস্তায় চলেনা, মাঝে মাঝে ওর মোড় ঘুরে ary সভ্যতার চাকাটা যখন কর্দমাক্ত পথে আটকা পড়ে অচল হয়, তখন তাকে নতুন পথে চালু করবার aca cata বিবাঁট ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন হয়। যুগের প্রয়োজনেই cae ব্যক্তিত্বের wR হয়। ভারতীয় মনকে fete নির্লিপ্ত নিরাসক্তি থেকে মুক্ত করার Gta নতুন জীবন-দর্শনের প্রয়োজন হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ সেঃ নতুন জীবন-দর্শনের জন্মমাতা। শঙ্করাচার্ বলেছিলেন, এই সংসার বড় বিচিত্র স্থান, একে বিশ্বাস কোরো না। রবীন্দ্রনাথের মুখেও সেই বিচিত্র বার্তা! আমরা শুনলাম, কিন্তু একেবারে অন্ত স্তরে, অন্ত অর্থে একবার চোখ মেলে চেয়ে দেখ কি বিচিত্র সুন্দর এই পৃথিবী । অন্তহীন এর সৌন্দর্য, অন্তহীন এর আনন্দ। পৃথিবী এক আনন্দ নিকেতন। 'তাঁর অস্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ _অঙ্গ নয়তো যে আনন্দে গড়া৷ আমার জীবন | এ ধরণের কথা কত যুগ আমরা Oi যে দ্বেশের লোক বলে, মরলেই বাঁচি, মে দেশের কবি বললেন, 'মরিতে চাছিন] আমি সুন্দর ভুবনে'। পৃথিবীর মনোহর রূপ তার নয়ন মন মুগ্ধ করেছে। কোথায় লাগে এর কাছে aT | স্বর্গ মর্ত্যের তুলনা করে মত্যকেই উচ্চতর স্থান দিয়েছেন। বলেছেন, 'মর্ত্যভূমি স্বর্গ নহে, সে যে মাতৃভূমি' (স্বর্গ হইতে বিদায় —an বাহুল্য মাতৃভূমি স্বর্গাঙ্বপি গরীয়সী । এরও আগে 'ছিন্নপত্রে'র একটি চিঠিতে বলছেন-_এ যে মস্ত বড় পৃথিবীটা চুপ করে পড়ে রয়েছে ওটাকে এমন ভালবাসি! ওর এই গাছপালা ART মাঠ কোলাহল-নিষ্ডক্ধতা প্রভাত-সন্ধ্যা ATW) Wa | হাতে আকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা যে সব পৃথিবীর ধন পেয়েছি এমন কি কোন স্বর্গ থেকে পেতুম !' “বসুন্ধরা” কবিতায় সুন্দরী বনহুদ্ধরার প্রতি প্রেম প্রায় একই ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে- ইচ্ছা! করিয়াছে, সবলে আকড়ি ধরি এ বক্ষের কাছে সমুদ্র মেখলা-পরা তব ক্টি দেবেশ । আমাদের বিমুখ মনকে তিনি আবার পৃথিবীর দিকে ফেরালেন। অসংখ্য গানে কবিতায় পৃথিবীর অফ্কুরস্ত সৌন্দযের প্রতি আমাদের চোখকে এবং মনকে আহ্বান করলেন। রবীন্দ্রকাব্য বলতে গেলে সৌন্দর্যের এক বিরাট ভোজ এবং এর বেশির ভাগই afta সৌন্দর্য। এর মধ্যে BE পরিমাণে রঙ